বার্সেলোনার জন্য তো এটা বড় দুঃসংবাদ বটেই, খবরটা শুনে স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের কপালেও নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার ভাঁজ। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পাবলো গাভিকে খেলতে দেখা যাবে না সামনের লম্বা সময়। শুরুতে যা ছোটখাটো হাঁটুর চোট মনে হয়েছিল, সেটাই রূপ নিয়েছে বড় সমস্যায়। গতকাল নিশ্চিত হয়েছে, বার্সেলোনার এই তরুণ অন্তত চার-পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকবেন।

সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির আগে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন গাভি। শুরুতে বার্সার মেডিকেল টিম ভেবেছিল, স্রেফ একটা ছোট অস্ত্রোপচারেই ব্যথা কমে যাবে। হাঁটুর ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটা পরিষ্কার করে দিলে চার-পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে মাঠে ফেরা সম্ভব হবে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর দেখা গেল, আসল সমস্যা আরও গভীর। গাভির হাঁটু প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শেষ পর্যন্ত পূর্ণ সুস্থতার জন্য বড় অস্ত্রোপচারই করতে হয়েছে। এর মানে এখন তাঁর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘ। সময় লাগবে অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস।

বার্সেলোনার জার্সি হাতে গাভি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই: মাসুদ পেজেশকিয়ান

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “আমি এই পরিষদের সামনে আবারো ঘোষণা করছি যে ইরান কখনো পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়নি এবং কখনো চেষ্টা করবে না। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না।”

২৮শে আগস্ট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ৩০ দিনের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এই তিনটি দেশ তেহরানকে ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তিগুলোর সাথে একটি চুক্তি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনেছে যার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা।

ইরান যদি জাতিসংঘের পারমাণবিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার পুনরায় অনুমোদন করে, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ নিয়ে উদ্বেগ দূর করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় অংশ নেয় তবে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য জায়গা করে দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় শক্তিগুলো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল ছয় মাস পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে’ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার ইউরোপীয় মিত্র এবং ইসরায়েল তেহরানকে অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা বিকাশের প্রচেষ্টার আবরণ হিসেবে তার পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।

পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এটি করে তারা সৎ বিশ্বাসকে একপাশে রেখে গেছে। তারা আইনি বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে গেছে। তারা ইরানের আইনসম্মত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলোকে ... গুরুতর লঙ্ঘন হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ