সোনাকান্দা অটো গ্যারেজের মালিকের বাসায় চুরি
Published: 24th, September 2025 GMT
বন্দরে অটো গ্যারেজের মালিকের বাসায় চুরি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্যারেজ মালিকের স্ত্রী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা চোরদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এর আগে গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা নোয়াদ্দা এলাকায় এ চুরি ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার সোনাকান্দা নোয়াদ্দা এলাকার অটো গ্যারেজ মালিক খোকন মিয়ার স্ত্রী রাশিদা বেগমের ননাশের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে একই এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে ইফতি সাথে মোবাইল সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়া হয়।
উক্ত ঝগড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ আমাদেরকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা ৪ দিন আত্মগোপনে থাকলে ঐ সুযোগে গত রোববার গভীর রাতে অজ্ঞাত নামা চোরের দল আমার ঘরের পশ্চিম পাশের লোহার প্লেন শীটের দরজা কেটে অনধিকার প্রবেশ করে ঘরে থাকা স্টিলের আলমারিতে রক্ষিত ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা এবং ব্যাংক এশিয়া, সোনাকান্দা শাখা হইতে উত্তোলনকৃত নগদ ২ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন দামী জিনিসিপত্র যাহার আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
পরে গত মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওই দিন বিকাল ৫টায় আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে দেখি দরজার প্লেনসিট কাটা ও ঘরের জিনিসপত্র ও আসভাবপত্র লন্ড ভন্ড অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতা ‘বোমা ফারুক’ গ্রেপ্তার
আগামী ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুককে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তারকেও (২৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল জলিল দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃত ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোমা ফারুক’ আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অন্যতম পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ যোগানদাতা।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি জলিল জানান, গত ৯ নভেম্বর ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ঢাকা শহর লকডাউন’ এবং সারা দেশকে অচল করার লক্ষ্যে সরকার উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়। এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে ফারুক হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন যে, আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করার জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন, তিনি এই অর্থের একাংশ একজনকে দিয়েছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমেও অর্থ পাঠিয়েছেন। তার মোবাইল ফোন যাচাই করে লকডাউন কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
আটক মো. ফারুক হোসেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে তিনি নিজেকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’ দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮১ সালে সরকারি ইয়াছিন কলেজের ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে তার বাম হাতের মধ্যমা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকেই তিনি ‘বোমা ফারুক’ নামে পরিচিত।
ঢাকা/তামিম/এস