নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি ঠেকাতে ‘বাজারদর’ শীর্ষক একটি মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন থেকে সারাদেশের নিত্যপণ্যের খুচরা বাজারদর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। গতকাল সোমবার এই অ্যাপটির উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আক্তার খান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভোক্তা অধিদপ্তরের চাহিদার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাপটি তৈরি করে দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি। এই অ্যাপে প্রতিদিনের খুচরা বাজারদরের তথ্য সরবরাহ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর। ফলে অ্যাপটির মাধ্যমে যে কোনো জায়গায় বসে জানা যাবে দেশের ৬৪টি জেলার খুচরা বাজারে পণ্যের দাম। এতে বাজারে কারসাজি কমবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম ভোক্তার জন্য নিশ্চিত করাও সহজ হবে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান বলেন, নাগরিকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে আর্থিক সীমাবদ্ধতা, জনবল স্বল্পতা ও কারিগরি সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অধিদপ্তর ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পণ্যের প্রকৃত সর্বোচ্চ দাম জানতে পারবে ভোক্তা। এতে ধীরে ধীরে এ-সংক্রান্ত প্রতারণা কমে আসবে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের দাখিল করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সফটওয়্যারগুলোর উপস্থাপনা-সংক্রান্ত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজারদর অ্যাপসের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এই অ্যাপটি সহজ, সংক্ষিপ্ত, কার্যকর ও ব্যবহারকারীবান্ধব। 
অনুষ্ঠানে অ্যাপটি বাস্তবায়ন, টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রদানসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অধিদপ্তর ও ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মোল্লার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। অ্যাপটির নির্মাতা শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, পণ্য বাজারে দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধে অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবে বাজারদর অ্যাপ। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম ভোক্তার জন্য নিশ্চিত করা সহজ হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর এই অ য প ব জ রদর

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে, হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশে ক্রমেই ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি বাড়ছে। অবশ্য বিশ্ব অর্থনীতিতে তার ঝাঁকুনি বড় পরিসরে লাগেনি। তবে এভাবে চলতে থাকলে এই সংঘাতে বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যাতে ভুগবে কোটি কোটি মানুষ; এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিষয়টি নিয়ে আলজাজিরা কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের ব্র্যান্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাদের হাবিবির সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা এখনো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলেনি; এটা বোঝা যায় বিশ্ব তেলের বাজার এবং আর্থিক মূলধন বাজারের প্রতিক্রিয়া থেকেই। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

তিনি বলেন, “গত সাত-আট দিনে একটি ভয় তৈরি হয়েছে যে, যদি এই সংঘাত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মাধ্যমে তেলবাজারে আরো গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।”

আরো পড়ুন:

ইরান-ইসরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা

জাতিসংঘে গ্রোসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ইরান

বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেলের সরবরাহ হরমুজ প্রণালি হয়ে যাতায়াত করে, যা ওমান উপসাগর এবং পারস্য উপসাগরকে সংযুক্ত করে।

হাবিবি আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত ইরান এই অঞ্চলের কোনো স্থাপনা বা অর্থনৈতিক সম্পদকে লক্ষ্যবস্তু করার দিকেই যায়নি এবং দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলও ইরানের অপরিশোধিত তেল রপ্তানির সক্ষমতাকে আঘাত হানতে অনিচ্ছুক।”

দুই দশে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে নামলে এবং তাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি হয়তো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তখন তার গভীর ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে হবে বিশ্ব অর্থনীতিকে। 

১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। 

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল; যেখানে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যদিও তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল না ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে অনেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২১ জুন পর্যন্ত ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। 

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোরবানির সময় ট্যানারিতে আসা ৯৮ শতাংশ কাঁচা চামড়া দাগযুক্ত ছিল: সিপিডির গবেষণা
  • ইসরায়েলে ৮ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
  • চাঁদপুরে এক ইলিশ বিক্রি হলো ১৩ হাজার টাকায়
  • রাজধানীতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোডশেডিং পরিস্থিতি
  • ইরানে মার্কিন হামলা, বিশ্ববাজারে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম
  • গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ কষ্টে আছে
  • আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে দেড় শতাধিক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত
  • আড়াইহাজারে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট সমাধানের আশ্বাস দিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান   
  • সরাসরি: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ