কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা
Published: 24th, June 2025 GMT
সম্পদের উৎস গোপন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার এ আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করে। রাতে তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
দুদক ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত মনিরুল মওলাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র তৈরি করে তা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ইসলামী ব্যাংকের মোট ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। এরপর গ্রুপটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপায়ে এই ব্যাংক থেকে ৯১ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যখন এসব ঋণ দেওয়া হয়, তার বেশির ভাগ সময় এমডি ছিলেন মনিরুল মওলা। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে এস আলমের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। এ জন্য এস আলম ব্যাংক দখলের পর তাঁকে এমডি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য ও অধিকাংশ ডিএমডি আত্মগোপনে চলে যান। তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম। তবে মনিরুল মওলা বহাল তবিয়তে ছিলেন। পরে কর্মকর্তাদের চাপে তাঁকে ছুটিতে পাঠায় পরিচালনা পর্ষদ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আড়াই বছর বয়সী মেয়েকে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সাড়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়ারা হলেন- একই এলাকার প্রবাসী রাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) ও তার সন্তান লামিয়া।
স্থানীয়রা জানান, রেশমা খাতুন পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কয়েকদিন ধরে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি। ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তারা রেশমা খাতুনের মরদেহ ঝুঁলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা দরজা ভেঙে লামিয়ার মরদেহ দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
বৃহস্পতিবার রেশমা খাতুন তার মেয়ে লামিয়াকে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। এরপর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ জানান, ঘটনাটি সত্য। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সন্তানকে হত্যা করে মা আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ