সম্পদের উৎস গোপন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার এ আদেশ দেন।

এর আগে রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করে। রাতে তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

দুদক ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত মনিরুল মওলাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র তৈরি করে তা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ইসলামী ব্যাংকের মোট ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। এরপর গ্রুপটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপায়ে এই ব্যাংক থেকে ৯১ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যখন এসব ঋণ দেওয়া হয়, তার বেশির ভাগ সময় এমডি ছিলেন মনিরুল মওলা। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে এস আলমের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। এ জন্য এস আলম ব্যাংক দখলের পর তাঁকে এমডি করা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য ও অধিকাংশ ডিএমডি আত্মগোপনে চলে যান। তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম। তবে মনিরুল মওলা বহাল তবিয়তে ছিলেন। পরে কর্মকর্তাদের চাপে তাঁকে ছুটিতে পাঠায় পরিচালনা পর্ষদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস আলম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

লিওনেল মেসির আজ জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে

শুরুটা হয়েছিল একটা স্যুটকেস থেকে কিংবা একটা ন্যাপকিন পেপার অথবা একটা বাইসাইকেল থেকে। সেসব তখন ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো জোড়া লেগে রূপান্তরিত হলো একটা পূর্ণাঙ্গ গল্পে। স্মৃতির সেসব পাথরখণ্ড এখন গল্পের জগৎ পেরিয়ে মিথ বা কিংবদন্তিতে রূপ নিয়েছে। কে জানে, হয়তো কোনো এক মনোরম মনোটোনাস সকালে কফির মগ হাতে মনে মনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন রূপকথার সেই মহানায়ক, যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গল্পগাথা।

রূপকথার সেই গল্পের মহানায়কের নামটা যে লিওনেল মেসি, তা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। আজ ৩৮তম জন্মদিনে মেসি কি আরেকবার সেসব রূপকথার দিকে ফিরে তাকাবেন? হয়তো তাকাবেন, হয়তো না। কিন্তু আমরা তো কাঁটায় হেঁটে মুকুটের সন্ধান পাওয়া সেই গল্পটার দিকে ফিরে তাকাতেই পারি।

একজন মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠার যাত্রাটা আরেকবার দেখে নিয়ে বলতে পারি, ‘এমন মানবজনম আর কি হবে।’ নাহ, এমনটা সব সময় হয় না। কখনো কখনো হয়, কদাচিৎ কেউ কেউ আসেন প্রকৃতির বর নিয়ে। যাঁর হাতে প্রকৃতি তুলে দেয় হ্যারি পটারের সেই জাদুর ছড়ি, যা মুহূর্তেই মাটিকে বদলে দিতে পারে হীরকখণ্ডে।

আরও পড়ুনফ্রি–কিকের সময় কী ভাবেন মেসি? গোল হয় কোন কৌশলে২১ জুন ২০২৫

‘মেসি’ নামের এই মহাকাব্যটা লেখা শুরু হয়েছিল ৩৮ বছর আগে আজকের এই দিনে। কিন্তু এই গল্প যেন আর কখনোই শেষ হওয়ার নয়। অনন্তকাল ধরে বিনি সুতার মালায় গাঁথা হতে থাকবে সেই গল্পটা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে এক অলৌকিক জাদুকরের গল্প, যে গল্পে একজন মানুষ ভীষণ কঠিন এক লড়াই শেষে পান করবেন অমরত্বের সঞ্জীবনী।

কিন্তু অমরত্বের পর আর কী? আর্জেন্টাইন সাহিত্যিক রবার্তো ফুনতানারোজার ‘এন আর্জেন্টাইন’স হেভেন’ নামক গল্পে একদল মানুষ মৃত্যুর পরে কীভাবে ফুটবল খেলা দেখার মধ্য দিয়ে স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন সেটা দেখিয়েছিলেন। ‍ফুটবলীয় সেই স্বর্গ কাতারে আড়াই বছর আগেই পেয়ে গেছেন মেসি। আঙুলের ইশারায় পুরো পৃথিবীকে একাই নাচিয়ে তুলেছিলেন ট্যাঙ্গোর তালে। কিন্তু এরপর? অমরত্বের পর সত্যিই কি কিছু থাকে? হ্যাঁ থাকে। অমরত্বের পর থাকে উপভোগ। অমরত্বের পর থাকে বয়ে যাওয়া।

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লিওনেল মেসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ