পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ আর বিতর্ক যেন হাত ধরাধরি করে চলে। তাঁর গানের কথা সহিংসতা ও মাদক গ্রহণে তরুণ প্রজন্মকে উসকে দেয়, এই অভিযোগে ভারতের নানা প্রান্তে তাঁর কনসার্ট নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। সবশেষ দিন দুই আগে তাঁর সিনেমায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী থাকায় এটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এবার দিলজিৎ খবরের শিরোনাম ইতিবাচক কারণে।
কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির (টিএমইউ) পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন দিলজিৎ। এই নতুন কোর্স শুরু হবে ২০২৬ সালের শেষ দিকে, ফল সেশনে। এটি পড়ানো হবে টিএমইউর ‘দ্য ক্রিয়েটিভ স্কুল’–এর অধীন। টরন্টোর বার্ষিক সংগীত ও আর্টস ফেস্টিভ্যাল বিলবোর্ড সামিটে এটি ঘোষণা করা হয়।

বিলবোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোর্সটি দিলজিতের কাজের ‘সাংস্কৃতিক, সংগীত ও প্রবাসীদের প্রাসঙ্গিকতা’ বিশ্লেষণ করবে। এই পাঠ্যসূচির বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি, তবে এটি কালচারাল স্টাডিজ, মিউজিকোলজি, মিডিয়া অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেশনের অধীন পড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

দিলজিৎ দোসাঞ্জ। গায়কের ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের ৫ দিন পর আইনজীবী জানালেন নোবেল বাবা হতে চলেছেন

গত ১৯ জুন কারাফটকে বিয়ে করেন শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। তার আইনজীবী আজ জানালেন, নোবেল বাবা হতে চলেছেন। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই খবর জেনেছেন নোবেল।

আদালত নোবেলের জামিন মঞ্জুরের পর তার আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জানান, নোবেল ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া বাবা-মা হতে চলেছেন।

বিয়ের পাঁচদিন পর নোবেলের স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, নোবেল-প্রিয়া গত বছর বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তখন কাবিন রেজিস্ট্রি করা ছিল না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে মামলা হয়। এখন ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে এবং গত ১৯ জুন কারাগারে আবার তাদের বিয়ে হয়েছে।

এদিন ডেমরা থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন নোবেল। জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। আদালতে জামিনের বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানান তার স্ত্রী প্রিয়া। তবে নোবেল নিজে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে হাসিখুশি অবস্থায় কড়া নিরাপত্তায় আদালতে প্রবেশ করেন নোবেল। এর কিছুক্ষণ পরই হাস্যোজ্জ্বল মুখে উপস্থিত হন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়াও। তিনিই ছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী। আদালতে প্রবেশ করে কাঠগড়ায় থাকা নোবেলের কাছে যান তিনি। বেশ আনন্দের সঙ্গে দুজন গল্প করেন কিছুক্ষণ।

এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় সারাক্ষণ প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন নোবেল। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে নেন তিনি।

গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। বাদীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন এই সংগীতশিল্পী। এই মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার নোবেলকে জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে বিয়ে করে জামিন পান নোবেল।

পরে ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিয়ে করেন মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান এবং মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া।

কারা সূত্রে জানা গেছে, এই বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ