হাত দিয়ে টানলেই উঠে আসছে সদ্য কার্পেটিং করা রাস্তার ঢালাই। কোথাও বিটুমিন নেই, কোথাও খোয়া ছাড়াই লাল মাটির ওপর পিচ ঢালা! এমন দৃশ্য দেখে কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৩ জুন) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজ পরিদর্শন করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। স্থানীয়দের অভিযোগের পর সরেজমিনে গিয়ে তিনি নিম্নমানের কাজের প্রমাণ পান।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ২ কোটি টাকার কাজটি পেয়েছে ‘মেসার্স আরতার অ্যান্ড ইয়েস্টেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চার বছর আগে সড়কের মেকাডাম (প্রাথমিক প্রস্তুতি) শেষ হলেও নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে কার্পেটিং স্থগিত ছিল। সম্প্রতি কাজ শুরু হলে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়।

এ প্রকল্পের ঠিকাদার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো.

আবু তাহের। স্থানীয়দের দাবি, তার রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় আগে কেউ মুখ খুলতে পারেনি।

আব্দুল্লাহপুরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেছেন, “আবু তাহের সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ঘনিষ্ঠ এবং সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীমের আত্মীয়। সে কারণে এতদিন চুপ ছিলাম।”

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার আবু তাহের প্রথমে দায় এড়িয়ে যান। পরে স্বীকার করেন কাজ নিম্নমানের হয়েছে এবং বলেন, “সরি, আমি ঠিক করে দেব।”

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “সরকারের অর্থ জনগণের রক্ত-ঘামের ফসল। সেই টাকা দিয়ে রাস্তা হবে জনগণের জন্য, কোনো ঠিকাদার বা প্রভাবশালী ব্যক্তির পকেটের জন্য নয়। এমন অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।”

দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেছেন, “আমি নিজে সড়কটি পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ সত্য। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রুবেল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: ‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পর ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্যরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। 

রবিবার (২২ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হামলার আদেশ কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না। আমরা দেখেছি, মধ্যপ্রাচ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা যুদ্ধ আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে—সবই ‘ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের’ মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। আমরা আর সেই ফাঁদে পড়ব না।”

তিনি আরো বলেন, “জনগণের কথা না শুনে ট্রাম্প ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহুর কথা শুনছেন—যিনি ইরাক নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন এবং এখন ইরান নিয়েও মিথ্যা বলছেন। কংগ্রেসকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিষয়ক সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই অবৈধ যুদ্ধ থামাতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের হামলা গণতন্ত্র ও সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরান কিছুই ভুলবে না, সব মনে রাখবে
  • সরাসরি: কাতারের আমিরের কাছে ইরানের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
  • জনগণের হতে পারলেই পুলিশের কলঙ্ক মুছে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও
  • জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের সবচেয়ে বড় অর্জন
  • পুলিশ জনগণের শাসক নয়, সেবক: সিএমপি কমিশনার
  • যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প: আরাঘচি
  • সরাসরি: ‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’