রূপগঞ্জের জোবায়ের হত্যার বিচার দাবিতে না’গঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন
Published: 24th, June 2025 GMT
রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের বিন মোহাম্মদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
খুনিদের ফাঁসি ও প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত জোবায়েরের মা মিনারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার একটা মাত্র ছেলে সন্তান ছিল, এখন আমি কি নিয়া বাঁচমু। আমার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল, এখন দুনিয়াতে কারে নিয়া বাঁচমু।” তিনি প্রধান আসামি শাহীনকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, নিহতের মা মিনারা বেগম, পরিবারের সদস্য সামিয়া আক্তার, জয়নাল আবেদিন, নিলুফা বেগম, ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য.
কিন্তু তার মৃত্যুর ৪০ দিন পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, পানিতে ডুবে নয় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে। পাওয়া গেছে মাথা ও বুকে আঘাতের আলামত।
জুবায়ের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার তপন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের তিন বন্ধুসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের মা মিনারা বেগম।
আসামিরা হলেন- নিহতের প্রতিবেশী মো. নাঈমের ছেলে শাহীন (২০), গাবতলা এলাকার নাজিরের ছেলে রাব্বি (১৯), একই এলাকার ফারুকের ছেলে সিয়াম (১৯) এবং চারিতালুকের হাছেন আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫)।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন হত র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।