রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের বিন মোহাম্মদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

খুনিদের ফাঁসি ও প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে নিহত জোবায়েরের মা মিনারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার একটা মাত্র ছেলে সন্তান ছিল, এখন আমি কি নিয়া বাঁচমু। আমার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল, এখন দুনিয়াতে কারে নিয়া বাঁচমু।” তিনি প্রধান আসামি শাহীনকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, নিহতের মা মিনারা বেগম, পরিবারের সদস্য সামিয়া আক্তার, জয়নাল আবেদিন, নিলুফা বেগম, ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য.

গত ১৮ এপ্রিল বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজ হন দশম শ্রেণির ছাত্র জুবায়ের বিন মোহাম্মদ। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা জানিয়েছিল, নদী পারাপারের সময় শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজ হন জুবায়ের।

কিন্তু তার মৃত্যুর ৪০ দিন পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, পানিতে ডুবে নয় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে। পাওয়া গেছে মাথা ও বুকে আঘাতের আলামত।

জুবায়ের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার তপন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের তিন বন্ধুসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের মা মিনারা বেগম।

আসামিরা হলেন- নিহতের প্রতিবেশী মো. নাঈমের ছেলে শাহীন (২০), গাবতলা এলাকার নাজিরের ছেলে রাব্বি (১৯), একই এলাকার ফারুকের ছেলে সিয়াম (১৯) এবং চারিতালুকের হাছেন আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫)।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরে পৃথক এই কর্মসূচি পালিত হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান ওরফে খুশি ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

আজ সকালে সুনামগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদর মোড়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এখানে ‘কথায় কথায় অবরোধ, এখন তোমার কোথায় বোধ’, ‘আর কত খুশি মরলে, প্রশাসনের টনক নড়বে’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফিটনেসবিহীন যান চলাচলে বাধা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে সড়কে অবস্থান নিয়ে বেলা একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন, জাকারিয়া নাইম, রাহাত আহমেদ, আশরাফ হোসেন; টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হুমায়ুন আহমদ, শান্ত রায়, সুমাইয়া আক্তার, আমিন উদ্দিন, পূর্বা তালুকদার, তাহমিদা জাহান, বুশরা আক্তার প্রমুখ।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষে মেয়েকে তুলে দেন অটোরিকশায়, ১০ মিনিট পর পেলেন মৃত্যুর খবর১৮ ঘণ্টা আগে

বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে এখন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ প্রশাসন, পুলিশ উদাসীন। এই সড়কে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। অদক্ষ চালকেরা গাড়ি চালান। কিন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ তুচ্ছ কোনো কিছু অজুহাত পেলেই পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকে মানুষকে ভোহান্তিতে ফেলেন। সড়কে এসব হত্যা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থী স্নেহা, আফসানার মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে একই দাবিতে মানববন্ধন করে বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরপর একই স্থানে মানববন্ধন করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, নিহত শিক্ষার্থী আফসানা জাহানের মামা সাইফুল ইসলাম (ছদরুল), সাংবাদিক লতিফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান পীর, শিক্ষক শাহিনা চৌধুরী, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ওবায়দুল হক, উন্নয়নকর্মী সালেহিন চৌধুরী, বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুল হাসান আতাহের, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণ বাবু দাস প্রমুখ।

আরও পড়ুনজন্মদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, ব্যাগে ছিল সহপাঠীদের দেওয়া উপহার৪ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন। আজ দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি
  • গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
  • তুহিন হত্যার বিচার চাইলেন ফরিদপুরের সাংবাদিকরা 
  • সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
  • সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন 
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
  • সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর সড়কে অভিযান, পাঁচটি যানবাহনকে জরিমানা
  • মাদারীপুরে কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ