প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
Published: 24th, June 2025 GMT
বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত প্লানাকে তাঁর নিয়োগের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং তাঁকে বাংলাদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। খবর বাসসের।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত প্লানা কসোভোকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে সশস্ত্র সংঘাতের পর কসোভোর জনগণের জীবন পুনর্গঠনে স্মরণ করেন গ্রামীণ কসোভোর অবদানকে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটি মূল্যবান অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি ও আমি আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের জন্যও শ্রদ্ধা জানাতে চাই। আপনার গ্রামীণ ট্রাস্টের উদ্যোগ আমাদের জাতির জন্য এক বিশাল সহায়তা ছিল। স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যুদ্ধোত্তর সময়ে কসোভোতে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অবদান ও সহায়তার জন্যও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো বর্তমানে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, যা সেখানকার ২০টি পৌরসভা ও ২১৯টি গ্রামে কাজ করছে। যেখানে ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী। বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট এই ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। কঠিন সে সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। যখন আমরা সেখানে পৌঁছাই, সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। পুরুষরা তখনও ফিরে আসেনি। কোনো মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। তখন আমরা শূন্য থেকে সেখানে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ শুরু করি।’
আলোচনায় দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়, বিশেষ করে– বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পর ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্যরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
রবিবার (২২ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হামলার আদেশ কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না। আমরা দেখেছি, মধ্যপ্রাচ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা যুদ্ধ আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে—সবই ‘ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের’ মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। আমরা আর সেই ফাঁদে পড়ব না।”
তিনি আরো বলেন, “জনগণের কথা না শুনে ট্রাম্প ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহুর কথা শুনছেন—যিনি ইরাক নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন এবং এখন ইরান নিয়েও মিথ্যা বলছেন। কংগ্রেসকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিষয়ক সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই অবৈধ যুদ্ধ থামাতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের হামলা গণতন্ত্র ও সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি।
ঢাকা/ইভা