ইরানে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানাল ব্রিকস
Published: 25th, June 2025 GMT
ব্রাজিল, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়াসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ এবং ‘জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছে।
বুধবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ব্রিকস একটি বিবৃতি জারি করেছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিকস গ্রুপ ইরানের ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা’য় হামলার সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ’র আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়ম লঙ্ঘন করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিকস।
আরো পড়ুন:
হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি: মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য
ইরানের অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ব্রিকস উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের মতপার্থক্য সমাধানের লক্ষ্যে কূটনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিকস, যার সদস্য ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও, বলেছে যে আলোচনার মাধ্যমে ‘সহিংসতার চক্র ভেঙে শান্তি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন’।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু
কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।