আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাতাহাতি
Published: 26th, June 2025 GMT
পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি দুই পক্ষ আইনজীবীর মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই আইনজীবীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একটি মামলার জামিন শুনানি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার।
হাতাহাতির ঘটনায় আদালতপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বিএনপিপন্থি সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে ঘটনায় বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় অ্যাডভোকেট মো.
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কলাপাড়ার একটি জিআর মামলার জামিন শুনানি শুরু হয়। এ শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালতে বিএনপিপন্থি দুই পক্ষ আইনজীবীর মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়।
পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি জেলা বিএনপির অন্যতম মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃজনক। আমরা আইনজীবী, আমরা কারও না কারও পক্ষে দাঁড়াব। এটাই আমাদের পেশা। সেখানে একজন আরেকজনকে মারধর করব, আদালতের পরিবেশ নষ্ট করব– এটা কাম্য নয়।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সন্নিকটের নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত
কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও উখিয়া—এই তিন উপজেলার সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চল এবং সন্নিকটে অবস্থিত নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই বন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত ইজারাগ্রহীতাসহ দোষী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি এবং বালু উত্তোলনের ফলে বনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গত মাসে রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল হচ্ছে চকরিয়ার খুটাখালী মৌজার খুটাখালী-১; রামুর ধোলিরছড়া মৌজার ধলিরছড়া এবং পানিরছড়া খাল; উখিয়ার উখিয়া ঘাট মৌজার বালুখালী-১, উয়ালাপালং এবং রাজাপালং মৌজার দোছড়ি বালুমহাল, পালংখালী মৌজার পালংখালী; রাজাপালং মৌজার হিজলিয়া, ধোয়াংগারচর ও কুমারিয়ারছড়া।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
বেলা জানায়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ২৭টি বালুমহালের তালিকা প্রস্তুত করে ২০২৫-২৬ (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) সালের জন্য ইজারার উদ্দেশ্যে গত ১১ মার্চ দরপত্র আহবান করেন। ২৭টি বালুমহালের মধ্যে ওই ৯টি বালুমহাল সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনের মধ্যে এবং কাছাকাছি। তাই সংশ্লিষ্ট বনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সম্ভাব্য ক্ষতি বিবেচনা করে ওই বালুমহালগুলো ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকতে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। এই অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনটি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যগুলোর ইজারাপ্রক্রিয়া চলমান। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বন রক্ষায় রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল ইজারার জন্য তালিকাভুক্ত করা সংবিধান ও অন্যান্য আইনের পরিপন্থী বলে কেন তা বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান বেলার অন্যতম আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই বালুমহালগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা এবং ইজারাযোগ্য বালুমহালের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।