সিমন্সের প্রত্যাশা: নিশাঙ্কাকে দেখে শিখুক বাংলাদেশের ব্যাটাররা
Published: 26th, June 2025 GMT
কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি পুরোপুরি ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। বল হাতে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল মাত্র দুটি উইকেট। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দাপট দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। দিনের শেষে ২ উইকেটে ২৯০ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা, লিড ৪৩ রানের।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বললেন, উইকেট অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। তিনি বলেন, আজ টেস্ট ক্রিকেটের জন্য কঠিন একটি দিন ছিল। বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ হয়ে গিয়েছিল। আমরা উইকেট আদায় করতে লড়াই করেছি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেমেছে ২৪৭ রানে। এরপর শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি পাথুম নিশাঙ্কা ও লাহিরু উদারা গড়েন ৮৮ রানের জুটি। এরপর নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্দিমালের ব্যাটে আসে ১৯৪ রানের আরও একটি বড় জুটি। দিনের শেষ পর্যন্ত নিশাঙ্কা অপরাজিত আছেন ১৪৬ রানে।
সিমন্স মনে করেন, প্রথম দিন কিছুটা ধীর ছিল উইকেট, কিন্তু আজ ব্যাটিং অনেক সহজ ছিল। বল ঘুরেছে খুব কম। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা সেটার পুরো ফায়দা তুলেছে।
ক্যারিবিয়ান এই কোচ ব্যাটিং ব্যর্থতার পেছনে কৌশলের অভাব দেখছেন। বিশেষ করে বড় জুটি গড়তে না পারাকে বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন তিনি। সিমন্স বলেন, আমাদের উচিত ছিল কয়েকজন ব্যাটারের ইনিংস লম্বা করা। সেটাই হয়নি। বড় জুটি হয়নি, আজ হাতে ছিল মাত্র দুই-তিনটি উইকেট।
শেষে নিশাঙ্কার ইনিংসের প্রশংসা করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য একটি বার্তা রাখেন সিমন্স। বলেন, নিশাঙ্কা যেভাবে ব্যাট করেছে, তা থেকে আমাদের শিখতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান তোলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স মন স র জন য উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এনসিপিসহ ১৬টি দলকে আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তালিকা করেছি। সেখান থেকে তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সিইসি
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব: তারেক রহমান
এবার ১৪৫টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।
কে এম আলী নেওয়াজ বলেন,“তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে সব দল ফেল করলে ইসি ৩ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের ঘাটতি পূরণের চিঠি দেয়। এরপর ৮০টি দল তথ্যে ঘাটতি পূরণ করে। এদের মধ্যে বাছাইয়ে টিকল ১৬টি।”
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এসব প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলী সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।
দলগুলো হলো-জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ