সিঙ্গাপুরগামী বিমানের পাখায় পাখির আঘাত, ফিরল শাহজালাল বিমানবন্দরে
Published: 27th, June 2025 GMT
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শুক্রবার সকালে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিঙ্গাপুরগামী একটি উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। এই ঘটনার পর উড়োজাহাজটি গন্তব্যে না গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে, নিরাপদে অবতরণ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের স্টেশন ম্যানেজার অপূর্ব দেওয়ান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি (বিজি ৫৮৪) আজ সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইটটিতে ১৫৪ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন। উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। প্রায় ২ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকাকালে ক্যাপ্টেন উড়োজাহাজটির পাখায় পাখির আঘাত লাগার কথা জানিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে উড়োজাহাজটি নিরাপদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমানবন্দরের বে-১৪ নম্বরে উড়োজাহাজটি পার্ক করা হয়।
অপূর্ব দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদ, সুস্থ আছেন।
ফ্লাইটটির (বিজি ৫৮৪) যাত্রীদের আরেকটি উড়োজাহাজে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান অপূর্ব দেওয়ান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র পদ
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা
ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীসহ ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে বিমানে আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিমানে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া এক ইমাম জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল এবং শিশুরা চিৎকার করে কাঁদছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার সকালে জোহানেসবার্গের ও.আর. টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনিদের একটি চার্টার বিমানে অবতরণ করে।
ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো বহির্গমন স্ট্যাম্প ছিল না, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কতদিন থাকবেন তাও উল্লেখ ছিল না এবং স্থানীয় ঠিকানাও ছিল না। এর ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এবং গিফট অফ দ্য গিভার্স নামে একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবার ও শিশুসহ ১৫৩ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ জন যাত্রী অন্য দেশে চলে গেছেন, ১৩০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছেন।
গিফট অফ দ্য গিভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে এটি ফিলিস্তিনিদের বহনকারী দ্বিতীয় বিমান যা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা কোথায় যাচ্ছেন। দুটি বিমানই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে লোকদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চার্টার বিমানটি কে পরিচালনা করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
ঢাকা/শাহেদ