আগামীর বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ : মাও. আবদুল হালিম
Published: 27th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে এক নতুন বাংলাদেশ যেখানে জুলুম, নির্যাতন, সন্ত্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র, অন্যায় ও দুর্নীতি থাকবে না।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার তারাবো পৌর অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য(রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। যেখানে অন্যায়, অনাচার, দখল, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণের মতো কদাচার থাকবে না। যে বাংলাদেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকে স্ব স্ব অধিকার ভোগ করবে।
সকল মানুষের অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সন্মান নিশ্চিৎ করতে পারে কেবলমাত্র ইসলাম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন এক কল্যণময় শান্তি সূখের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংগ্রাম করছে।
মাওলানা আবদুল হালিম আরো বলেন, জনগণ নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়, তাই ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিৎ করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র প্রকাশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই অভ্যূত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের পূনর্বাসন করতে হবে। প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ সব দাবী আদায়ে তিনি সকলকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকারের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ র জন ত ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ আবদ ল হ ল ম ন র য়ণগঞ জ নত ন ব সদস য ইসল ম ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।