সিইসিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিন অভিযোগ
Published: 27th, June 2025 GMT
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিনটি অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ গত বুধবার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যোগ করার আবেদন করে। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এটি মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
দিনের ভোট রাতে আয়োজনসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করার অভিযোগে গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নূরুল হুদা চার ও কাজী হাবিবুল তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। গত সোমবার উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে নূরুল হুদাকে পুলিশে দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। আর বুধবার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল ডামি সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি। যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হয়, তবে হাজার বছরেও এ দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানিতে বিচারকের অনুমতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী হাবিবুল বলেন, ‘আমার জীবনে কোনো দিন কেউ অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে কেউ পয়সা দেয়নি বা আমি কারও কাছ থেকে পয়সা নিইনি। আমি স্বীকার করি, ২০২৪ সালের নির্বাচন ডামি, প্রহসনের হয়েছে। ডামি নির্বাচন কি আমার কারণে হয়েছে? রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার কারণেই ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি।’
কাজী হাবিবুলের এমন উত্তরের পর আদালত প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনি পদত্যাগ করলেন না কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে কোনো সিইসি পদত্যাগ করেননি।’ পরে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের অনিয়মের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কাজী হাবিবুল বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নের তিন মাসের মাথায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৩টি আসন পায়। সেই নির্বাচনও সুষ্ঠু ছিল না। ক্ষমতার লোভ এমন যে, শেখ মুজিবও তা সামলাতে পারেননি।’
এ সময় পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘এখানে নির্বাচন নিয়ে আপনার (কাজী হাবিবুল) সাধু সাজার সুযোগ নেই। আপনার নিজের অপরাধ ঢাকার সুযোগ নেই। অন্যরা অন্যায় করেছে– এসব না বলে আপনি কী করেছেন, সেটা বলেন।’
এ সময় ফারুকীর পাশ থেকে এক আইনজীবী বলে ওঠেন, ‘এতগুলো ছেলেমেয়ে মারা গেছে আপনার (কাজী হাবিবুল) জন্য।’ পরে আদালত বলেন, ‘তিনি নিজেকে জাস্টিফাই করছেন। এসব বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।’ এ সময় কাজী হাবিবুল বলেন, ‘জাস্টিফাই না করতে দিলে রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন।’ তাঁর এ বক্তব্যের সময় উপস্থিত আইনজীবীরা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন।
২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি একাধিক পত্রিকায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের মন্তব্য প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নিরপেক্ষ করার বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ছিল। সেই সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল।’ নির্বাচনের আগের দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে।’
গতকাল শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়াল এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাঁর অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। তিনি ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ যাতে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে, সে জন্য কাজ করেন। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন।
এক পর্যায়ে পিপি ফারুকী বলেন, ‘কাজী হাবিবুলের অধীনে এ দেশের ফ্যাসিস্ট হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থিত ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তাঁর আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এ দেশে কলঙ্কজনক নির্বাচন হয়। আসামি ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। ৫ আগস্টের পর দেশের অবস্থা বুঝতে পেরে আত্মগোপন করেন। অন্যায় করেছিলেন বলে তিনি গা-ঢাকা দেন।’
তিনি আরও বলেন, কাজী হাবিবুল কীভাবে সবার সামনে মিথ্যাচার করেছেন? নির্বাচনের দিন তিনি বলেছিলেন– ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ ভোট দিচ্ছে।’ এসব মিথ্যা কথা বলে জনগণের সঙ্গে বড় প্রতারণা করেছেন। নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। এর এক ঘণ্টা পর এসে জানান, ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। নির্বাচনের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন।
পরে মামলার ধারার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারুকী। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আধা ঘণ্টার শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের দৃশ্য
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। এজলাসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এক কনস্টেবল সাবেক সিইসির মাথা থেকে হেলমেট খুলে দেন। খুলে দেওয়া হয় হাতকড়াও। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। দুপুর দেড়টায় বিচারক এজলাসে উঠলে ওকালতনামায় কাজী হাবিবুলের সই নেওয়া হয়। এর পর ১টা ৩২ মিনিটে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়ে ২টা ১০ মিনিটে শেষ হয়।
তিন জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি
গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এসব নির্বাচনে দুর্নীতি এবং প্রশাসনের ভূমিকাকে ঘিরে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হবে। ভবিষ্যতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিটি সুপারিশ দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। অন্য চার সদস্য হলেন— সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড.
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে চায়।
কমিটি নির্বাচনগুলোর বিষয়ে পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করবে। ভবিষ্যতে সব নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকার বিষয়ে সুপারিশ করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে তদন্ত পরিচালনায় সাচিবিক সহায়তা করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ইস হ ব ব ল আউয় ল ২০২৪ স ল র সরক র র জনগণ র আইনজ ব ন কর ন জ র কর কর ছ ন ন ত কর গতক ল সদস য আওয় ম তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন বহাল
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবীকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিন বহাল রয়েছে। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রোববার এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।
২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী। এর ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা এদিন চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ। ফারাবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহিনুর রহমান ও ওমর ফারুক।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। তার মানে হাইকোর্ট ফারাবীকে যে জামিন দিয়েছিলেন, তা বহাল। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। ফারাবী প্ররোচনা দিয়েছেন—কোনো সাক্ষী তা বলেনি। এমনকি তাঁর সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি। ফারাবীর জামিনের পক্ষে এসব যুক্তি তুলে ধরা হয়।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুনব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন৩০ জুলাই ২০২৫এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।