সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিনটি অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ গত বুধবার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যোগ করার আবেদন করে। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এটি মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

দিনের ভোট রাতে আয়োজনসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করার অভিযোগে গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নূরুল হুদা চার ও কাজী হাবিবুল তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। গত সোমবার উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে নূরুল হুদাকে পুলিশে দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। আর বুধবার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল ডামি সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি। যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হয়, তবে হাজার বছরেও এ দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানিতে বিচারকের অনুমতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কাজী হাবিবুল বলেন, ‘আমার জীবনে কোনো দিন কেউ অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে কেউ পয়সা দেয়নি বা আমি কারও কাছ থেকে পয়সা নিইনি। আমি স্বীকার করি, ২০২৪ সালের নির্বাচন ডামি, প্রহসনের হয়েছে। ডামি নির্বাচন কি আমার কারণে হয়েছে? রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার কারণেই ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি।’

কাজী হাবিবুলের এমন উত্তরের পর আদালত প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনি পদত্যাগ করলেন না কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে কোনো সিইসি পদত্যাগ করেননি।’ পরে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের অনিয়মের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কাজী হাবিবুল বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নের তিন মাসের মাথায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৩টি আসন পায়। সেই নির্বাচনও সুষ্ঠু ছিল না। ক্ষমতার লোভ এমন যে, শেখ মুজিবও তা সামলাতে পারেননি।’
এ সময় পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘এখানে নির্বাচন নিয়ে আপনার (কাজী হাবিবুল) সাধু সাজার সুযোগ নেই। আপনার নিজের অপরাধ ঢাকার সুযোগ নেই। অন্যরা অন্যায় করেছে– এসব না বলে আপনি কী করেছেন, সেটা বলেন।’

এ সময় ফারুকীর পাশ থেকে এক আইনজীবী বলে ওঠেন, ‘এতগুলো ছেলেমেয়ে মারা গেছে আপনার (কাজী হাবিবুল) জন্য।’ পরে আদালত বলেন, ‘তিনি নিজেকে জাস্টিফাই করছেন। এসব বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।’ এ সময় কাজী হাবিবুল বলেন, ‘জাস্টিফাই না করতে দিলে রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন।’ তাঁর এ বক্তব্যের সময় উপস্থিত আইনজীবীরা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন।

২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি একাধিক পত্রিকায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের মন্তব্য প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নিরপেক্ষ করার বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ছিল। সেই সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল।’ নির্বাচনের আগের দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে।’

গতকাল শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়াল এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাঁর অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। তিনি ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ যাতে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে, সে জন্য কাজ করেন। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন।

এক পর্যায়ে পিপি ফারুকী বলেন, ‘কাজী হাবিবুলের অধীনে এ দেশের ফ্যাসিস্ট হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থিত ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তাঁর আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এ দেশে কলঙ্কজনক নির্বাচন হয়। আসামি ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। ৫ আগস্টের পর দেশের অবস্থা বুঝতে পেরে আত্মগোপন করেন। অন্যায় করেছিলেন বলে তিনি গা-ঢাকা দেন।’

তিনি আরও বলেন, কাজী হাবিবুল কীভাবে সবার সামনে মিথ্যাচার করেছেন? নির্বাচনের দিন তিনি বলেছিলেন– ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ ভোট দিচ্ছে।’ এসব মিথ্যা কথা বলে জনগণের সঙ্গে বড় প্রতারণা করেছেন। নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। এর এক ঘণ্টা পর এসে জানান, ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। নির্বাচনের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন।

পরে মামলার ধারার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারুকী। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আধা ঘণ্টার শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের দৃশ্য

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। এজলাসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এক কনস্টেবল সাবেক সিইসির মাথা থেকে হেলমেট খুলে দেন। খুলে দেওয়া হয় হাতকড়াও। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। দুপুর দেড়টায় বিচারক এজলাসে উঠলে ওকালতনামায় কাজী হাবিবুলের সই নেওয়া হয়। এর পর ১টা ৩২ মিনিটে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়ে ২টা ১০ মিনিটে শেষ হয়।

তিন জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এসব নির্বাচনে দুর্নীতি এবং প্রশাসনের ভূমিকাকে ঘিরে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হবে। ভবিষ্যতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিটি সুপারিশ দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। অন্য চার সদস্য হলেন— সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড.

মো. আব্দুল আলীম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে চায়।

কমিটি নির্বাচনগুলোর বিষয়ে পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করবে। ভবিষ্যতে সব নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকার বিষয়ে সুপারিশ করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে তদন্ত পরিচালনায় সাচিবিক সহায়তা করবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইস হ ব ব ল আউয় ল ২০২৪ স ল র সরক র র জনগণ র আইনজ ব ন কর ন জ র কর কর ছ ন ন ত কর গতক ল সদস য আওয় ম তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের উচিত ছিল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা। গত ১০ মাসেও সেটি হয়নি। যদিও সশস্ত্র বাহিনী দিবসে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনার প্রত্যাশা ছিল বিএনপির।” 

তিনি বলেন, “আগামীর দেশ পরিচালনা, হাসিনার বিচার ও নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। বিএনপি আশা করে, ভবিষ্যতে অন্তর্বর্তী সরকার এ দায়িত্ব পালন করবে।”

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘মব জাস্টিস’: তারেক রহমান

খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ 

এ্যানি বলেন, “আমরা সবাই দেশের কল্যাণে একমত হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। তাই এখন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে দল ও জনগণের মধ্যে ভুল বার্তা দেওয়া ঠিক নয়।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই দলটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে দমন, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং দুঃশাসনের ইতিহাস আওয়ামী লীগের। গত ১৭ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লুটপাট, বিরোধী মত দমন ও স্বৈরশাসনের মাত্রা আরো বেড়েছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের রাজনীতি করেনি, করে না। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রভাব বিস্তার, ভয়ভীতি ও দুর্নীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা খুন ও নির্যাতনের রাজনীতির ধারক। তাই মানুষ জুলাইয়ের আন্দোলনে রাস্তায় নেমে তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এখন জনগণ অপেক্ষায় আছে—এই দুঃশাসনের মূল হোতাদের বিচারের দিন কবে আসবে।”

চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বচন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া বাবু, মো. খালেদসহ আরও অনেকে। 

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইরান
  • বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি
  • বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করল সরকার
  • ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের
  • সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘এক্সকিউজ’ দেওয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত : হাসনাত আবদুল্লাহ
  • ‘মব’–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের
  • সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অজুহাত দেওয়ার ট্রেনিংপ্রাপ্ত: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • ‘মতপার্থক্য দূর করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুব কঠিন বিষয় না’
  • সরকারের উচিত ছিল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা: এ্যানি