সাবধান! ভুয়া চাকরির প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা
Published: 27th, June 2025 GMT
লিংকডইনসহ পেশাদার কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন করে কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ ও ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে তারা।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সকেট থ্রেট রিসার্চ জানিয়েছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভনে এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রথমে নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর ‘টেস্ট প্রজেক্ট’ বা ‘কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট’–এর নামে একটি গুগল ডক ফাইল পাঠায়। ফাইলটিতে ওপেন সোর্স মাধ্যম এনপিএমে (নোড প্যাকেজ ম্যানেজার) ৩৫টি ক্ষতিকর প্যাকেজ যুক্ত থাকায় নামালেই কম্পিউটারে বিভারটেইল ও ইনভিজিবলফেরেট ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারগুলো।
বিভারটেইল ম্যালওয়্যার মূলত ব্রাউজারে সংরক্ষিত কুকি, পাসওয়ার্ড ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের তথ্য চুরি করার পাশাপাশি নতুন ম্যালওয়্যার ইনস্টলের সুযোগ তৈরি করে। ফলে সহজেই দূর থেকে কম্পিউটারে থাকা ফাইল সংগ্রহ, পর্দার ছবি তোলা, কি-বোর্ডের ব্যবহার নজরদারি করাসহ পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেই বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ম্যালওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে অচেনা উৎস থেকে পাওয়া কোনো কোড বা সফটওয়্যার সরাসরি নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য লওয় য র ম য লওয কর র প
এছাড়াও পড়ুন:
কনার বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার পর কাকে ‘শিয়াল রাণী’ বললেন ন্যান্সি
হঠাৎ করেই বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। তার বিবাহবিচ্ছেদের সংবাদটি প্রকাশ্যে আসার পর সংগীতপাড়ায় শুরু হয় আলোচনা। তবে আলোচনা নতুন মোড় নেয় আরেক শিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি একটি পোস্ট দেওয়ার পর।
বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্টে কনা লেখেন, ‘আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।’ এরপর তিনি ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের পেছনের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
কনার স্ট্যাটাসটি প্রকাশের ঠিক প্রায় এক ঘণ্টা পর, রাত ১২টার দিকে, ন্যান্সি তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছোট্ট স্ট্যাটাস দেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়-বাণীতে শেয়াল রানী।”
এই বাক্য নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় জল্পনা। কনার পোস্টের একটি বাক্য সরাসরি ব্যবহার করায় অনেকেই ধরে নেন, এই মন্তব্য পরোক্ষভাবে কনাকে উদ্দেশ করে করা। বিশেষ করে ‘শেয়াল রানি’ শব্দটি ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পেছনে পুরনো একটি প্রেক্ষাপটও নতুন করে সংযোগ তৈরি করছে। গত বছরের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা অনেকেই মনে করেন, কনার দিকেই ইঙ্গিত ছিল। সে সময় কনার গাওয়া সুপারহিট গান ‘দুষ্টু কোকিল’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন কনা।
এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়—দুই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মধ্যে যেন পর্দার আড়ালে চলছে টানাপোড়েন। যদিও কনা বা ন্যান্সি কেউই প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ স্বীকার করেননি, কিংবা একে অপরকে নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে কণার স্ট্যাটাসের পর এবারও ন্যান্সির এই পোস্টে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন নেটিজেনরা।
২০০০ সালে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন দিলশাদ নাহার কনা। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ ছবিতে ‘পৃথিবীর যত সুখ’ গানটির মধ্য দিয়ে গানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ন্যান্সির।