Samakal:
2025-10-03@04:00:48 GMT

ভিআইপি এলে লিফট চলে

Published: 27th, June 2025 GMT

ভিআইপি এলে লিফট চলে

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভবন তিনতলা। এর দ্বিতীয় তলায় মেয়রের কক্ষ। ২০২২ সালে মেয়রের কক্ষে যেতে অর্ধকোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হয় লিফট। এখন মেয়র নেই। অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) এলে লিফট চালু করা হয়। বাকি সময় বন্ধ থাকে।
কুসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১০ জুলাই সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু মেয়র হন। ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত মেয়র হন।

কুসিকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ রিফাতের সিটি করপোরেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হতো। এ কারণে তার জন্য দ্রুত লিফট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেয়রকে খুশি করতে বিলাসী লিফট স্থাপনে ভূমিকা রাখেন কর্মকর্তারা। লিফট স্থাপনে খরচ হয়েছে ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪০ টাকা। সেই লিফট স্থাপনের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয় ‘ড্রিমস আন লিমিটেড’কে। কোম্পানিটিকে লিফট সরবরাহ ও স্থাপনের জন্য দেওয়া হয় ২৭ লাখ ৯ হাজার ৯৯০ টাকা এবং অবকাঠামো নির্মাণে আরও ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫০ টাকা দেওয়া হয়। ড্রিমস আন লিমিটেডের মালিক মনু মিয়া। তিনি কুমিল্লা শহরের দেশওয়ালী পট্টির বাসিন্দা। সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এদিকে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রিফাত সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর লিফটটি কার্যত পড়ে আছে। গত বছরের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে মেয়র হন সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে ডা.

তাহ্‌সিন বাহার সূচনা। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি অপসারিত হন। বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলর বলেন, রিফাত মেয়র নির্বাচনের কিছুদিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশির ভাগ সময় বাসায় থেকে অফিসের কাজ চালাতেন। কুসিকের নিচতলায় অফিস করার মতো পর্যাপ্ত কক্ষ থাকলেও জনগণের করের টাকা এভাবে ব্যয় অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়। সেই লিফট এখন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কারণ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার জন্য লিফট প্রয়োজন নেই।
কুসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাত এতটা অসুস্থ ছিলেন যে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারতেন না। তাই লিফট স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে আমরা এটা ব্যবহার করি না। এমনকি সর্বশেষ মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনাও এ লিফট ব্যবহার করতেন না। এ লিফট বিকল নয়, কোনো ভিআইপি এলে ব্যবহার করা হয়।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ আইপ র জন য ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’

তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্‌দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।

একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্ক
প্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্‌দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্‌দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্‌দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্‌দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।

২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’

অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।

বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহর ও গ্রামে সাবানের চাহিদার ভিন্নতা
  • তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বগুড়ায় কঙ্গোর নাগরিক, জিম্মি-প্রতারণার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
  • লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
  • ‘বিশেষ বিবেচনায়’ হলে থাকেন শিবির সভাপতি, হয়েছেন ভিপি প্রার্থী
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৫ শিক্ষার্থীর সাজা