জাতীয় নাগরিক পার্টি– এনসিপি সংসদে যাবে এবং সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা এলেও আমরা থেমে নেই। বড় বড় দলের সামনে দাঁড়িয়ে গেছি। একটি দল গেছে, আরেকটি আমাদের ধরার জন্য অপেক্ষায় আছে। এ দেশে বুলেটের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয়েছে। আগামীতে ব্যালটে বিপ্লব হবে। এ বিপ্লবে তরুণ প্রজন্মকে কোনো শক্তি প্রতিহত করতে পারবে না।’

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নাসীরুদ্দীন। ন্যাশনাল এসএমই অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন নাসীরুদ্দীন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যে যারা দুঃখ পেয়েছেন, আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’ এ সময় স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের নির্বাচনের আগে বিচার করার দাবি জানান নাসীরুদ্দীন।

তিনি বলেন, আগামী সংসদে এনসিপি সরকার গঠন করতে পারলে অর্থনৈতিক খাতের লুণ্ঠনকারীদের বিচার করা হবে। সরকার আরাম কেদারায় বসে বড় বড় কথা বলে কাজ করলে হবে না। বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিচার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, অল্পকিছু মানুষ এ দেশের ৯০ শতাংশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অর্থ দিয়ে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মিডিয়া মাফিয়া, ব্যাংক মাফিয়ারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.

তাসনিম জারা, ইম্পেরিয়াল গ্রুপের এমডি মাহবুবুর রহমান, লাইট অব হোপ এবং টোগোমোগোর প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালীউল্লাহ ভূঁইয়া, ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম শিখোর সিইও শাহীর চৌধুরী, শেয়ার ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হুসাইন, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর প্রমুখ।

এসএমই খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ ফ্রেমওয়ার্ক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়ক ও এনসিপির এসএমই উইংয়ের সমন্বয়ক আশিকিন আলম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প ন স র দ দ ন প টওয় র সমন বয়ক অন ষ ঠ ন এনস প র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ নভেম্বর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনে বেশ কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫৬.২৫ পয়েন্ট বা ৫.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮৯.৩৬ পয়েন্ট বা ৪.৬০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬২.২৬ পয়েন্ট বা ৫.৯৯ শতাংশ কমে ৯৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮৬.৮৪ পয়েন্ট বা ২০.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি ৮৯ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ৯৪১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, দর কমেছে ৩৬৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ৩০টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫৭.৩১ পয়েন্ট বা ৩.৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৯১ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ৩.৪৪ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৩.৫১ শতাংশ কমে ৮৪৪ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১১.৩৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৫৭২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, দর কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা