স্ত্রী বেটিনা টোস্টারকে রিকশায় সওয়ারি বানিয়ে চালকের আসনে বসলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার। চললেন কিছুটা পথও। জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে চার বছরের দায়িত্ব পালন শেষে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। রিকশার চালক আর সওয়ায়ির ভিডিও দিয়ে এটাই ছিল জার্মান দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে আখিমের শেষ পোস্ট।

আখিম ভিডিওতে বলছেন, ‘দারুণ চারটি বছর ঢাকায় কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছি বার্লিনে। ঢাকা আর বার্লিনের দূরত্ব মাত্র ৭ হাজার কিলোমিটার।’

ভিডিওতে দেখা যায়, বাসার গেটে একটি রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আখিম টোস্টার। পরনে লুঙ্গি ও পোলো টি–শার্ট, মাথায় লাল চেকের গামছা, হাতে ঘড়ি ও পায়ে কালো জুতা। এরপর তাঁর স্ত্রী বেটিনা টোস্টার এলে তিনি হাতে ধরে তাঁকে রিকশায় ওঠান। তুলে দেন তাঁর ট্রলিও। এরপর স্ত্রীকে সওয়ারি করে রিকশা চালিয়ে পথে নামেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।

দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে তাঁদের নিরাপদ জার্মান যাত্রার পাশাপাশি পরবর্তী যাত্রার জন্য শুভকামনা করা হয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে ঢাকায় জার্মানির চতুর্দশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আখিম টোস্টার। ১৯৯০ সালে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া এই কূটনীতিক বাংলাদেশের আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে নিজের দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কূটনীতিক হিসেবে আখিম টোস্টার জেনেভা, মাদ্রিদ, বুখারেস্ট, সারায়েভোর জার্মান দূতাবাসে বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় এআই

দ্বাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের বাসিন্দারা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। একসময় হাজারো মানুষ এই ভাষায় কথা বললেও এখন আইনুভাষীর সংখ্যা মাত্র কয়েকজন। আর তাই ইউনেসকো ভাষাটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই আইনু ভাষা সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুরোনো ধারণ করা অডিও শোনানো হচ্ছে। এরপর এআই কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে আইনু ভাষা চর্চা করছেন বিজ্ঞানীরা।

১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আইনু ভাষায় কথা বলত। পরবর্তী সময় দেশটির বিদ্যালয়ে আইনু ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সরকারি বিভিন্ন নীতিমালার কারণে ধীরে ধীরে এই ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় হারিয়ে যায়। সম্প্রতি আইনু ভাষা ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।

আইনু ভাষা ও সংস্কৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেলেও ভাষাটির বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে। আর তাই বর্তমানে এআই স্পিচ রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাতসুয়া কাওয়াহারা জানিয়েছেন, শব্দের মান খুব ভালো নয়। অনেক ভিডিও বাড়িতে অ্যানালগ যন্ত্রে ধারণ করায় বাড়তি শব্দ রয়েছে। কাজটি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন এ পদ্ধতিতে এআইয়ের জন্য বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি করা হচ্ছে। এআই নিজে ভাষার নিয়ম বুঝতে চেষ্টা করে প্রতিলিপি করতে পারলেও আইনুর মতো বিপন্ন ভাষার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। আর তাই এআই প্রযুক্তিকে আইনু ভাষার বিভিন্ন বক্তব্যকে পাঠ্যে রূপান্তরের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। এরপর পাঠ্য থেকে বক্তৃতা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এআই।

সূত্র: বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হচ্ছে আগামীকাল
  • কবে শুটিংয়ে ফিরছেন শাবনূর, জানালেন নির্মাতা
  • রঙ্গনা সিনেমার শুটিংয়ে ফিরছেন শাবনূর
  • ব্রাজিলিয়ান আগুন নিভিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন
  • মেসি-সুয়ারেজদের এক হালি গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
  • বাহরাইনকে ‘সেভেনআপ’ বাংলাদেশের
  • নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
  • ডাইনোসরের আগে পৃথিবীতে কাদের রাজত্ব ছিল, কী খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
  • হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় এআই