এখন থেকেই জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে : গিয়াসউদ্দিন
Published: 30th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আগামীতে যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে আমরা ৫টি আসনে আমাদের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।
আমি নারায়ণগঞ্জে জেলার ৫টি আসনে কাজ করছি, সব জায়গায় গিয়ে কাজ করছি বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে যাতে ভোটে নির্বাচিত করা যায়। এই দায়ীত্ববোধ আমি আমার নিজের থেকে নিয়েছি।
সোমবার (৩০ জুন) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্ধোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমার প্রতি বিএনপি অনেক অবদান রেখেছে, বিএনপি আমাকে অনেক কিছু করেছে, এখন এর প্রতিদান দিতে হবে কৃতজ্ঞাতাবোধ থেকে। বিএনপির কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, কাজেই ৫টি আসনের জন্যই আমাকে কাজ করতে হবে।
আমার ব্যাক্তিগতর জন্য না, ৫টি আসনের জন্য, দল ৫টি আসনে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার পরে এই ৫জনকেই নির্বাচিত করার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ এই ৫টি নির্বাচনি এলাকায় কারো আত্মীয় আছে, কারো বন্ধু আছে, অনেকের সাথে পরিচয় আছে আপনারা যেখানেই যাবেন সেখানে গিয়ে ঐ এলাকায় বিএনপির যে মনোনীত প্রার্থী হবে তাকে যেন জনগণ ভোট দেয় তার জন্য ভোট চাইবেন।
এখন থেকেই জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে, জনগণের পাশে গিয়ে সুখ, দুঃখের সাথী হতে হবে, আগামীতে ৫টি আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে। এই দায়ীত্ব যেমন আমি নিয়েছি, আপনারাও এই দায়ীত্ব নিবেন।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ,হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এস,এম,আসলাম, ডি,এইচ,বাবুল, জি,এম,সাদরিল, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মাসুদ করিম, শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণদলের সভাপতি টি,এইচ,তোফা, সালাউদ্দিন, আব্দুল হাই রিংকু, শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রনি প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ব এনপ র স মন ন ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,“ইদানিং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করেছেন।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা সেই ক্যাম্পেইন থেকে সরে আসতে তারা বাধ্য হয়েছে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এনসিপির কৃষিবিদ উইং এর আয়োজনে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ খেয়াল করেছি
এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়ল
তিনি বলেন, “আমরা যখন কৃষি কৃষক নিয়ে কথা বলছি তখন বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুটি দলের অবস্থান খুবই ভয়ঙ্করভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। দুইটা বড় দল কৃষকের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য জনগণকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার সেটাকে গৌণ করে ফেলছে। আবার আরেকটি দল আলু না গণভোট স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকেরা পাচ্ছেন না সেটাকে তারা গৌণ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট দুটাই একই সঙ্গে সমান্তরালে গুরুত্বপূর্ণ।”
আখতার হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল নিজেদের জায়গা থেকে মন্তব্য করছেন সেটাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ গণভোট এবং পরবর্তী সংসদকে ক্ষমতা প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছি।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণভোটের রায় বাধ্যতামূলক হবে কি না? গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না? সে প্রশ্ন যারা করছেন তারা কিন্তু শিক্ষিত মানুষ। তারা এটাও জানেন যে পৃথিবীর অনেক দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর গণভোটের মধ্য দিয়ে সেই সংবিধানকেই পাস হতে হয়। যদি সেই গণভোটের সংবিধান পাস না হয় তাহলে সেটা সংবিধান হিসেবেই গৃহীত হয় না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার যে আদেশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনেকগুলো জায়গাতে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মতিগতির ওপর অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের বস্তু দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন,“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখব অতিদ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের অস্পষ্টতাগুলো দূরীকরণ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে বাংলাদেশে যেন একটি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রাস্তায় তৈরি করবেন।”
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও কৃষিবিদ উইং এর নেতারা।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ