বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ ক্রিকেটার কারা
Published: 1st, July 2025 GMT
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, শতকোটি ডলারের বাণিজ্যিক জগৎও। আর এ দুনিয়ার যাঁরা প্রধান চরিত্র, সেই ক্রিকেটারদের আয়ও কম নয়। মাঠের ক্রিকেটে সফল ও দীর্ঘ ক্যারিয়ার অনেককে খেলোয়াড় হিসেবে যেমন উঁচুতে তুলেছে, তেমনি মাঠের বাইরের ব্র্যান্ড ভ্যালু আর ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তাও তাঁদের নিয়ে গেছে সম্পদের চূড়ায়।
বাইশ গজের পিচ থেকে শতকোটি টাকা সম্পদের সীমানায় পৌঁছে যাওয়া এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কমও নয়। তেমন খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বে সম্পদের দিক থেকে শীর্ষ ১০ ক্রিকেটারের তালিকা তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
১.শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
সম্পদের পরিমাণ: ১৭ কোটি মার্কিন ডলার
শচীন টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১৩ সালে। তিনিই এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪ হাজারের বেশি রান করা এই ডানহাতি ক্যারিয়ারের বড় সময় ধরে ছিলেন ক্রিকেট–দুনিয়ার প্রধান মুখ। স্বাভাবিকভাবে বেতন–ভাতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক জগতে তাঁর চাহিদাও ছিল তুমুল। যা অবসরের পর কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। টেন্ডুলকার ক্রিকেট থেকে আয়ের পাশাপাশি প্রচুর বিজ্ঞাপন করেছেন। যার মধ্যে ছিল অ্যাডিডাস, এমআরএফ, পেপসি, লুমিনাস, ক্যাস্ট্রলের মতো ব্র্যান্ড।
টেন্ডুলকারের ব্যবসায়িক উদ্যোগও আছে। যেমন পোশাক ব্র্যান্ড ‘ট্রু ব্লু’, স্পোর্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘এসআরটি’, ফিটনেস রিটেইল ব্র্যান্ড ‘এস ড্রাইভ অ্যান্ড সাচ’ মালিকানায় আছে টেন্ডুলকারের নাম। এর বাইরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) ফুটবলে কেরালা ব্লাস্টার্সের অন্যতম মালিক তিনি।
২. মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ১২.৫০ কোটি মার্কিন ডলার
ভারতের দুটি বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক তিনি। ২০০৭ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের হয়ে খেলা ছেড়েছেন ২০১৯ সালে, তবে এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলে চলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এখনো পর্যন্ত বাণিজ্যিক জগতে তাঁর সরব বিচরণ। টিভিএস, রেড বাস, সনি, স্নিকার্স, গালফ অয়েল, ওরিয়েন্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধোনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ও আছেন।
শচীন টেন্ডুলকারের মতো ধোনিরও আইএসএলে মালিকানা আছে। তিনি চেন্নাইয়ান এফসির সহমালিক, আছে সুপারবাইক রেসিং টিম ‘মাহি রেসিং টিম ইন্ডিয়া’ও। এ ছাড়া বিনিয়োগ আছে স্পোর্টসওয়্যার ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সেভেন’, ফিনটেক স্টার্টআপ ‘খাতাবুক’, ড্রোন প্রযুক্তি কোম্পানি ‘গারুদা অ্যারোস্পেস’–এ। জিম চেইন স্পোর্টফিট ওয়ার্ল্ডেও আছে ধোনির মালিকানা। এসবের বাইরে রাঁচিতে একটি ফার্মহাউস এবং মুম্বাই, পুনে ও দুবাইয়ে সম্পত্তি আছে ধোনির।
৩. বিরাট কোহলি (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ৯.২০ কোটি মার্কিন ডলার
টি–টোয়েন্টি ছেড়েছেন, টেস্ট ছেড়েছেন, এখনো আছেন ওয়ানডেতে। তবে বিরাট কোহলি শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মুখ নন, আইপিএলেরও। এ মুহূর্তে ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় পরিচিত মুখ ভারতের এই ক্রিকেটার। ভারত ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে বড় আয় তো করেনই, পাশাপাশি বিজ্ঞাপন চুক্তি থেকেও আসে বড় অঙ্কের অর্থ। পুমা, অডি, কোলগেট, টিসট, এমআরএফের সঙ্গে চুক্তি আছে কোহলির। এ ছাড়া ব্যবসায়ও তিনি পিছিয়ে নেন। ওয়ান৮ নামের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও ফিটনেস প্রজেক্ট স্টেপথলন কিডসের মালিক কোহলি। মালিকানা আছে তরুণদের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ডব্লিআরওজিএন’ ও রেস্তোরাঁ ‘নুয়েভা’–তেও।
৪. রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)সম্পদের পরিমাণ: ৭ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার রিকি পন্টিং ৭ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে শীর্ষ ধনী ক্রিকেটারের তালিকায় চতুর্থ। ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে বিভিন্ন লিগে কোচিং করান, ধারাভাষ্য দেন। এ দুটিই তাঁর আয়ের মূল উৎস। এ ছাড়া অ্যাডিডাস, রেক্সোনা ও কুকাবুরার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত পন্টিং। এর বাইরে আবাসন ও ‘পন্টিং ওয়াইন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিনিয়োগ আছে।
৫. ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সম্পদের পরিমাণ: ৬ কোটি মার্কিন ডলার
টেস্টে ৪০০ রানের একমাত্র ইনিংসের মালিক ব্রায়ান লারা। ত্রিনিদাদ থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার খেলা ছাড়ার পর কোচিং করান, ধারাভাষ্যও দেন। এ ছাড়া এমআরএফ, অ্যাঙ্গোস্তুরা ও স্ট্যানমোরের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত লারা। পাশাপাশি তিনি গলফ কোর্স ডিজাইন ও আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া রি–ইনস্যুরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন লারা।
সম্পদের পরিমাণ: ৫ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার এখন পৃথিবীতে নেই। ২০২৩ সালে আকস্মিক বিদায় নেওয়া শেন ওয়ার্ন খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিং ও ধারাভাষ্যে ব্যস্ত থেকেছেন। তবে ওয়ার্নের সম্পদের বড় খাত তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগ। সেভেনজিরোএইট নামের একটি জিন ডিস্টিলারির সহমালিক ছিলেন ওয়ার্ন, করোনা মহামারির সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজারও উৎপাদন করেছিল। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডভান্সড হেয়ার স্টুডিওসের অংশীদার ছিলেন। মেলবোর্নের ব্রাইটন এলাকায় ওয়ার্ন বেশ কিছু বাড়ি কিনে সংস্কার করে আবাসন খাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন। অন্তর্বাস ব্র্যান্ড ‘স্পিনার্স’–এর মতো কিছু উদ্যোগ মুখ থুবড়ে না পড়লে ওয়ার্নের ব্যবসায়িক দুনিয়া হয়তো আরও বড়ই হতো।
৭. জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)সম্পদের পরিমাণ: ৪.৮ কোটি মার্কিন ডলার
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত। খেলা ছাড়ার পর কয়েক বছর আইপিএলে কোচিং করিয়েছেন। এখন দেখা যায় ধারাভাষ্যেও। তবে ক্যালিসের আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ খেলার বাইরে ব্যবসা থেকে। মিউনিখ রি–ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করেন তিনি। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘অ্যাডভান্সড হেয়ার স্টুডিও’–তে বিনিয়োগ আছে তাঁর। টেইলরমেড গলফের সঙ্গেও জড়িত তিনি।
৮. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)সম্পদের পরিমাণ: ৪.৫ কোটি মার্কিন ডলার
ক্রিকেটে ‘টি–টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ কথাটা প্রচলনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ক্রিস গেইলের। বিশ্বজুড়ে যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, সেখানেই ক্রিস গেইল—একসময় এমনটাই দেখা যেত। এখন তিনি প্রায় অবসরে। তবে টি–টোয়েন্টি খেলে টাকা কামানোর পাশাপাশি নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগে জড়িয়েছেন গেইল। আইওনা এন্টারটেইনমেন্ট নামের একটি ভার্চ্যুয়াল গেমিং প্ল্যাটফর্ম, ফ্লিপএআর নামের একটি স্টার্টআপ ও আবাসনে বিনিয়োগ আছে গেইলের। এ ছাড়া তাঁর সম্পূর্ণ মালিকানায় আছে ‘ক্রিস গেইল কালেকশন’ নামের একটি পোশাক ব্র্যান্ড ও ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ নামের একটি বার ও রেস্তোরাঁ।
৯. বীরেন্দর শেবাগ (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ৪ কোটি মার্কিন ডলার
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্য দিয়ে থাকেন। তবে অর্থ আয়ের বড় খাত ব্যবসা। ‘ভিএস বাই শেবাগ’ নামে একটি পোশাক ও ক্রিকেট সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড আছে তাঁর। এ ছাড়া ভারতের হরিয়ানায় ‘শেবাগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আছে তাঁর। এর বাইরে ক্রিকেট বিষয় অনুষ্ঠান ও প্রচারণায় তো উপস্থিত থাকেনই।
১০. শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)সম্পদের পরিমাণ: ৪ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন এখন কোচিং করান। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের দল সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নের কোচ তিনি। এ ছাড়া ধারাভাষ্যও দিয়ে থাকেন। ওয়াটসনের আছে ব্যবসাও। ‘টি২০ স্পোর্টস’ নামের একটি ক্রিকেট সরঞ্জাম নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের সহমালিক ছিলেন ওয়াটসন। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব যবস য় ক ট ন ড লক র ন ম র একট ব শ বক প ইন ড য়
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ ক্রিকেটার কারা
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, শতকোটি ডলারের বাণিজ্যিক জগৎও। আর এ দুনিয়ার যাঁরা প্রধান চরিত্র, সেই ক্রিকেটারদের আয়ও কম নয়। মাঠের ক্রিকেটে সফল ও দীর্ঘ ক্যারিয়ার অনেককে খেলোয়াড় হিসেবে যেমন উঁচুতে তুলেছে, তেমনি মাঠের বাইরের ব্র্যান্ড ভ্যালু আর ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তাও তাঁদের নিয়ে গেছে সম্পদের চূড়ায়।
বাইশ গজের পিচ থেকে শতকোটি টাকা সম্পদের সীমানায় পৌঁছে যাওয়া এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কমও নয়। তেমন খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বে সম্পদের দিক থেকে শীর্ষ ১০ ক্রিকেটারের তালিকা তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
১. শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ১৭ কোটি মার্কিন ডলার
শচীন টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১৩ সালে। তিনিই এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪ হাজারের বেশি রান করা এই ডানহাতি ক্যারিয়ারের বড় সময় ধরে ছিলেন ক্রিকেট–দুনিয়ার প্রধান মুখ। স্বাভাবিকভাবে বেতন–ভাতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক জগতে তাঁর চাহিদাও ছিল তুমুল। যা অবসরের পর কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। টেন্ডুলকার ক্রিকেট থেকে আয়ের পাশাপাশি প্রচুর বিজ্ঞাপন করেছেন। যার মধ্যে ছিল অ্যাডিডাস, এমআরএফ, পেপসি, লুমিনাস, ক্যাস্ট্রলের মতো ব্র্যান্ড।
টেন্ডুলকারের ব্যবসায়িক উদ্যোগও আছে। যেমন পোশাক ব্র্যান্ড ‘ট্রু ব্লু’, স্পোর্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘এসআরটি’, ফিটনেস রিটেইল ব্র্যান্ড ‘এস ড্রাইভ অ্যান্ড সাচ’ মালিকানায় আছে টেন্ডুলকারের নাম। এর বাইরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) ফুটবলে কেরালা ব্লাস্টার্সের অন্যতম মালিক তিনি।
২. মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ১২.৫০ কোটি মার্কিন ডলার
ভারতের দুটি বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক তিনি। ২০০৭ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের হয়ে খেলা ছেড়েছেন ২০১৯ সালে, তবে এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলে চলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এখনো পর্যন্ত বাণিজ্যিক জগতে তাঁর সরব বিচরণ। টিভিএস, রেড বাস, সনি, স্নিকার্স, গালফ অয়েল, ওরিয়েন্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধোনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ও আছেন।
শচীন টেন্ডুলকারের মতো ধোনিরও আইএসএলে মালিকানা আছে। তিনি চেন্নাইয়ান এফসির সহমালিক, আছে সুপারবাইক রেসিং টিম ‘মাহি রেসিং টিম ইন্ডিয়া’ও। এ ছাড়া বিনিয়োগ আছে স্পোর্টসওয়্যার ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সেভেন’, ফিনটেক স্টার্টআপ ‘খাতাবুক’, ড্রোন প্রযুক্তি কোম্পানি ‘গারুদা অ্যারোস্পেস’–এ। জিম চেইন স্পোর্টফিট ওয়ার্ল্ডেও আছে ধোনির মালিকানা। এসবের বাইরে রাঁচিতে একটি ফার্মহাউস এবং মুম্বাই, পুনে ও দুবাইয়ে সম্পত্তি আছে ধোনির।
৩. বিরাট কোহলি (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ৯.২০ কোটি মার্কিন ডলার
টি–টোয়েন্টি ছেড়েছেন, টেস্ট ছেড়েছেন, এখনো আছেন ওয়ানডেতে। তবে বিরাট কোহলি শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মুখ নন, আইপিএলেরও। এ মুহূর্তে ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় পরিচিত মুখ ভারতের এই ক্রিকেটার। ভারত ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে বড় আয় তো করেনই, পাশাপাশি বিজ্ঞাপন চুক্তি থেকেও আসে বড় অঙ্কের অর্থ। পুমা, অডি, কোলগেট, টিসট, এমআরএফের সঙ্গে চুক্তি আছে কোহলির। এ ছাড়া ব্যবসায়ও তিনি পিছিয়ে নেন। ওয়ান৮ নামের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও ফিটনেস প্রজেক্ট স্টেপথলন কিডসের মালিক কোহলি। মালিকানা আছে তরুণদের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ডব্লিআরওজিএন’ ও রেস্তোরাঁ ‘নুয়েভা’–তেও।
৪. রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)সম্পদের পরিমাণ: ৭ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার রিকি পন্টিং ৭ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে শীর্ষ ধনী ক্রিকেটারের তালিকায় চতুর্থ। ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে বিভিন্ন লিগে কোচিং করান, ধারাভাষ্য দেন। এ দুটিই তাঁর আয়ের মূল উৎস। এ ছাড়া অ্যাডিডাস, রেক্সোনা ও কুকাবুরার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত পন্টিং। এর বাইরে আবাসন ও ‘পন্টিং ওয়াইন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিনিয়োগ আছে।
৫. ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সম্পদের পরিমাণ: ৬ কোটি মার্কিন ডলার
টেস্টে ৪০০ রানের একমাত্র ইনিংসের মালিক ব্রায়ান লারা। ত্রিনিদাদ থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার খেলা ছাড়ার পর কোচিং করান, ধারাভাষ্যও দেন। এ ছাড়া এমআরএফ, অ্যাঙ্গোস্তুরা ও স্ট্যানমোরের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত লারা। পাশাপাশি তিনি গলফ কোর্স ডিজাইন ও আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া রি–ইনস্যুরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন লারা।
সম্পদের পরিমাণ: ৫ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার এখন পৃথিবীতে নেই। ২০২৩ সালে আকস্মিক বিদায় নেওয়া শেন ওয়ার্ন খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিং ও ধারাভাষ্যে ব্যস্ত থেকেছেন। তবে ওয়ার্নের সম্পদের বড় খাত তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগ। সেভেনজিরোএইট নামের একটি জিন ডিস্টিলারির সহমালিক ছিলেন ওয়ার্ন, করোনা মহামারির সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজারও উৎপাদন করেছিল। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডভান্সড হেয়ার স্টুডিওসের অংশীদার ছিলেন। মেলবোর্নের ব্রাইটন এলাকায় ওয়ার্ন বেশ কিছু বাড়ি কিনে সংস্কার করে আবাসন খাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন। অন্তর্বাস ব্র্যান্ড ‘স্পিনার্স’–এর মতো কিছু উদ্যোগ মুখ থুবড়ে না পড়লে ওয়ার্নের ব্যবসায়িক দুনিয়া হয়তো আরও বড়ই হতো।
৭. জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)সম্পদের পরিমাণ: ৪.৮ কোটি মার্কিন ডলার
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত। খেলা ছাড়ার পর কয়েক বছর আইপিএলে কোচিং করিয়েছেন। এখন দেখা যায় ধারাভাষ্যেও। তবে ক্যালিসের আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ খেলার বাইরে ব্যবসা থেকে। মিউনিখ রি–ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করেন তিনি। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘অ্যাডভান্সড হেয়ার স্টুডিও’–তে বিনিয়োগ আছে তাঁর। টেইলরমেড গলফের সঙ্গেও জড়িত তিনি।
৮. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)সম্পদের পরিমাণ: ৪.৫ কোটি মার্কিন ডলার
ক্রিকেটে ‘টি–টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ কথাটা প্রচলনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ক্রিস গেইলের। বিশ্বজুড়ে যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, সেখানেই ক্রিস গেইল—একসময় এমনটাই দেখা যেত। এখন তিনি প্রায় অবসরে। তবে টি–টোয়েন্টি খেলে টাকা কামানোর পাশাপাশি নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগে জড়িয়েছেন গেইল। আইওনা এন্টারটেইনমেন্ট নামের একটি ভার্চ্যুয়াল গেমিং প্ল্যাটফর্ম, ফ্লিপএআর নামের একটি স্টার্টআপ ও আবাসনে বিনিয়োগ আছে গেইলের। এ ছাড়া তাঁর সম্পূর্ণ মালিকানায় আছে ‘ক্রিস গেইল কালেকশন’ নামের একটি পোশাক ব্র্যান্ড ও ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ নামের একটি বার ও রেস্তোরাঁ।
৯. বীরেন্দর শেবাগ (ভারত)সম্পদের পরিমাণ: ৪ কোটি মার্কিন ডলার
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্য দিয়ে থাকেন। তবে অর্থ আয়ের বড় খাত ব্যবসা। ‘ভিএস বাই শেবাগ’ নামে একটি পোশাক ও ক্রিকেট সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড আছে তাঁর। এ ছাড়া ভারতের হরিয়ানায় ‘শেবাগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আছে তাঁর। এর বাইরে ক্রিকেট বিষয় অনুষ্ঠান ও প্রচারণায় তো উপস্থিত থাকেনই।
১০. শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)সম্পদের পরিমাণ: ৪ কোটি মার্কিন ডলার
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন এখন কোচিং করান। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের দল সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নের কোচ তিনি। এ ছাড়া ধারাভাষ্যও দিয়ে থাকেন। ওয়াটসনের আছে ব্যবসাও। ‘টি২০ স্পোর্টস’ নামের একটি ক্রিকেট সরঞ্জাম নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের সহমালিক ছিলেন ওয়াটসন। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।