টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে লড়বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
Published: 1st, July 2025 GMT
আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক সুখবর দিয়েছে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট। তারা নিশ্চিত করেছে ২০২৫ সালের ‘টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে’ আবারও অংশ নিতে যাচ্ছে এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
টানা তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নামবে পাকিস্তান শাহিনস (‘এ’ দল) । অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২০২৪ সালে ফাইনালে হেরে যাওয়া আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চায়, যেখানে তারা হেরে গিয়েছিল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে।
সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবে এই দুই উপমহাদেশের অন্যতম শক্তিধর দল। আগামী ১৪ আগস্ট ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় রাত ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। একই সঙ্গে এই ম্যাচ ঘিরে উদযাপন করা হবে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। তাই এটিকে ধরা হচ্ছে বিশেষ ‘মার্কি’ ম্যাচ হিসেবে।
আরো পড়ুন:
অপেক্ষার অবসান, নাকি আরও বাড়বে?
৩২৮ রানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা
এই সিরিজে এবার অংশ নিচ্ছে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও। ফলে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেটের আয়োজনে রয়েছে দুইটি আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশ এবং একটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন সম্ভাবনা গড়ার মঞ্চে পরিণত হয়েছে এই আয়োজন।
প্রতিবারের মতো এবারও এই সিরিজে খেলবেন দুই দেশের উদীয়মান প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা। বিদেশের পরিবেশে, অস্ট্রেলিয়ার কঠিন কন্ডিশনে খেলে নিজেদের প্রস্তুত করার দারুণ সুযোগ পাবে তারা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন তরুণ পেসার রিপন মন্ডল ও স্পিনার রাকিবুল হাসান। যাদের ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে। এছাড়া আলোচনায় ছিলেন ২৩ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন, যিনি সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছিলেন বিস্ফোরক ৫৩ বলে শতরানের ইনিংস।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দিক থেকেও এই সিরিজে খেলতে এসেছিলেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক তারকা। উসমান খান, ইরফান খান, জাহানদাদ খান, আরাফাত মিনহাস ও রোহাইল নাজির। সবাই-ই টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি খেলেই পরে সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন।
এবারের এই আয়োজন নিয়ে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেটের সিইও গ্যাভিন ডোভি বলেন, “পিসিবি ও বিসিবিকে আবারও ডারউইনে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। তারা সত্যিকারের ক্রিকেট পরাশক্তি। এই সিরিজ শুধু খেলাধুলার নয়, বরং এটি আমাদের অঞ্চলের মানুষ, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—এই দুটি দেশ মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। নেপালকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এবার আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে যাচ্ছি যা ডারউইনকে গ্লোবাল মানচিত্রে একটি নতুন পরিচিতি দেবে।”
বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, “টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি আমাদের ক্যালেন্ডারে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলে আমাদের তরুণরা আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পায়। এটি শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং উন্নয়নের একটি অংশ। বিশেষ করে ১৪ আগস্টের উদ্বোধনী ম্যাচের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।”
পিসিবির অপারেটিং অফিসার সুমাইর আহমেদ সৈয়দ বলেন, “পাকিস্তান শাহিনস তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এখান থেকে অনেক উদীয়মান খেলোয়াড় উঠে এসেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের টুর্নামেন্ট আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্পূর্ণ সূচি ও ২০২৫ টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেওয়া ১১টি দলের নাম পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই স র জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল, তবে উদ্বেগ রয়ে গেছে
শাসনব্যবস্থায় পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে সারসংক্ষেপে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ আর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ (প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদার) করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন।
আগস্টের কিছু ঘটনার পর দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, যদিও কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সরকারের আমলে মানবাধিকার-সংক্রান্ত যেসব বিষয়ে উল্লেখ করার মতো গ্রহণযোগ্য খবর রয়েছে, সেগুলো হলো নির্বিচারে বা বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন কিংবা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে থাকা সমালোচকদের সরকারিভাবে হয়রানি, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, যার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার বা বিচার করা এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ, শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি বা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি, শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ ধরন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিদ্যমান থাকা।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি২২ এপ্রিল ২০২৪বিগত সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য খবর পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এর জেরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করা ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আগের সরকারের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই ও আগস্টে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল—উভয়কে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনমানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও মার্কিন প্রতিবেদনে আসেনি২৫ এপ্রিল ২০২৪