মানুষ এমন এক জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যেখানে তার মস্তিষ্ক, চোখ এবং পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। আর তাতেই গড় আয়ু পেরোনোর আগেই মরে যাচ্ছে মানুষ—এমনটাই মনে করেন ভারতের বিখ্যাত ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব।  বলিউডজুড়ে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একদিকে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্যদিকে রামদেব বলছেন, ‘‘শেফালির হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’- ভালো ছিল না। অর্থাৎ বাইরে থেকে শেফালিকে সুস্থ মনে হলেও তিনি ভেতরে ভেতরে অসুস্থ ছিলেন।

পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গেছে,  শেফালির রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে  গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক। যা প্রাথমিকভাবে বয়স প্রতিরোধী ওষুধের (অ্যান্টি এজিং) মধ্যে পাওয়া যায়। শেফালির বাড়ি থেকেও বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ওষুধের ২টি বাক্স খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ফলে সেই ওষুধের প্রভাবেও হঠাৎ কমে যেতে পারে রক্তচাপ।

অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার ভালো না মন্দ সেই বিতর্কে না গিয়ে রামদেব বলেছেন, ‘‘মানুষের স্বাভাবিক গড় আয়ু ১০০ বছর নয়, বরং ১৫০ থেকে ২০০ বছর।’’

আরো পড়ুন:

শুভ জন্মদিন জয়া আহসান

‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’


বাবা রামদেব বলেন, ‘‘মানুষ নিজের মস্তিস্ক, চোখ, পাকস্থলীর ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে ফেলে। যে খাবার ১০০ বছরে একজন মানুষের খাওয়া উচিত, সেই খাবারই মাত্র ২৫ বছরে খেয়ে নেয় মানুষ।’’

এই যোগগুরুর বষয় ৬০ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু তিনি যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন। কেবলমাত্র সঠিক খাবার গ্রহণ এবং জীবনধারণের জন্যই সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন রামদেব।

রামদেবে মতে কেবলমাত্র বাইরে থেকে নয়, প্রকৃত সুস্থ থাকার অর্থ ভেতর থেকেও সবল থাকা। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিজের জীবনে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খাদ্যাভাস, আচার ব্যবহার, সব কিছুর ওপরেই সুস্থ থাকা নির্ভরশীল।
 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র মদ ব

এছাড়াও পড়ুন:

সফটওয়্যার কোম্পানির টাকায় যক্ষ্মা সম্মেলনে

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে অর্থ চেয়েছে। ওই কোম্পানির সঙ্গে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লেনদেন আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ক্রয় আইনের লঙ্ঘন। চারজন বিদেশগামী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা নিজের অর্থে সম্মেলনে যাচ্ছেন।

যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগের আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলন ইউনিয়ন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। সম্মেলন শুরু হচ্ছে ১৮ নভেম্বর, শেষ হবে ২১ নভেম্বর। সারা বিশ্বের যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগবিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সদ্য সাবেক উপপরিচালক জোবায়দা নাসরিন ভারতের সফটওয়্যার কোম্পানি কিউর এআই-কে ৫ অক্টোবর চিঠি দিয়ে অর্থসহায়তার অনুরোধ করেন। বর্তমানে তিনি যক্ষ্মা ও কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপপরিচালক।

এটি স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়। যে কোম্পানির সঙ্গে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবসা আছে, তার কাছে অর্থসহায়তা চাওয়া অনৈতিক। এটা সরকারি ক্রয়বিধির পরিপন্থী। আইনের লঙ্ঘন। এটা ভবিষ্যৎ ক্রয়প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। এটা গ্রহণযোগ্য না, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটি যেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পাঁচ কর্মকর্তাকে ওই সম্মেলনে যোগদান নিশ্চিত করতে অর্থসহায়তা দেয়। কোম্পানিটির কাছে অর্থসহায়তা বাবদ ২২ হাজার ২৭০ ডলারের (প্রায় ২৭ লাখ টাকা) একটি বাজেটও দেওয়া হয়।

সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে পাঁচজনের একটি নামের তালিকা পাঠানো হয়। তাঁরা হচ্ছেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপপরিচালক মো. শাফিন জব্বার, জাতীয় কর্মসূচি সমন্বয়ক রূপালি শিশির বাণু, যক্ষ্মা ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞ উম্মে তাসনিম মালিহা, বিভাগীয় যক্ষ্মাবিশেষজ্ঞ (ঢাকা উত্তর) ফারজানা জামান এবং সহকারী পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ এফ এম মনিরুল হক। প্রথমজন সরকারি কর্মকর্তা। বাকি চারজন দাতা সংস্থা গ্লোবাল ফান্ডের কর্মকর্তা। এই চারজন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অফিসে বসে কাজ করলেও তাঁদের বেতন–ভাতা দেয় গ্লোবাল ফান্ড।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এর আগে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ অর্থবছরে কিউর এআইয়ের কাছ থেকে সফটওয়্যার কিনেছে। এই সফটওয়্যার কেনা হয় গ্লোবাল ফান্ডের টাকায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সফটওয়্যার যক্ষ্মা শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হয়।

সংশ্লিষ্ট একজন সরকারি, তিনজন বেসরকারি ও একজন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আরও সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া চলমান। কোন কোম্পানির কাছ থেকে তা কেনা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে একটি কোম্পানির কাছে অর্থসহায়তা চেয়ে জোবায়দা নাসরিনের এই চিঠি নানা সন্দেহ তৈরি করেছে।

তাঁরা কিছুই জানতেন নাযক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক ভাই গুগল, আরেক ভাই মেটায়
  • সফটওয়্যার কোম্পানির টাকায় যক্ষ্মা সম্মেলনে