গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে জাহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মৃত হারিছউদ্দিনের ছেলে।

নিহত জাহিদুলের স্ত্রী শিফা আক্তার জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে ভাত খাওয়ার পর তার স্বামীকে দুই বন্ধু মুন্না ও মইনুল মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নেন। এরপর রাত ১০টার দিকে জানতে পারেন, জাহিদুলকে কুপিয়ে স্থানীয় আড়াল বাজারের উত্তরপাশে খান বাড়ি এলাকায় ফেলে রাখা হয়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শিফা আক্তার আরো জানান, তার স্বামী জাহিদুল বাড়িতে তেমন একটা থাকে না। তার বন্ধু মইনুল, মুন্না, সৈকত ও মারুফ প্রায়ই তাকে ফোন করে বাইরে নিয়ে যেতেন। গত রমজান মাসে তারা জাহিদুলকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেবার প্রাণে বেঁচে ফিরলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ 

জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাহানারা বেগম নামের এক নারীর বাড়ি নির্মাণের কাজ থেকে আদায় করা ৫০ হাজার টাকা চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে জাহিদুলের সঙ্গে মইনুল, মুন্না, সৈকত ও মারুফের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে তারা জাহিদুলকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড়াল বাজারের পাশে পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সনমানিয়া ইউনিয়নে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নিয়ে মারুফ-বাবু গ্রুপ, মইনুল গ্রুপ ও আমির হোসেন গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ সব সন্ত্রাসীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এমনকি আড়াল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য তাদের হামলার শিকার হয়েছেন। দুই মাস আগেও এই ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এক যুবক গুরুতর আহত হন। 

সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য তৌহিদুজ্জামান সরকার তপন বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহত জাহিদুলকে হাসপাতালে পাঠানোর পর আড়াল পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য ফাঁড়িতে ফেরার পথে বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীদের ধাওয়ার শিকার হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আব্দুল গাফফার নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুজন পালিয়ে যায়।’’ 

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, যারা হত্যা করেছেন এবং যিনি নিহত হয়েছেন, তারা সবাই একই চক্রের সদস্য। তারা এলাকায় মাদক কারবার, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

ঢাকা/রফিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য জ হ দ লক ক রব র সদস য মইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

৭১, ৯০ ও ২৪ জুলাইকে আমাদের ধারণ করতে হবে : মামুন মাহমুদ 

‎‎জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ  বলেছেন, ৭১, ৯০ ও ২৪ জুলাইকে আমাদের ধারণ করতে হবে। তাহলে আমরা সত্যিকারে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হতে পারব। আমরা যদি সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হই তাহলে আমাদের ভেবে দেখতে হবে এই তিনটি সংগ্রামের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল। 

যদি আমরা এই তিনটি ধারণ করতে পারি দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্য গডফাদার বৃষ্টি হবে না। আমরা রাজপথে থাকবো যতদিন ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না আসবে, আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব যতদিন পর্যন্ত আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে না আসতে পারবে।

এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ‎সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (৬ জুলাই ) বিকেলে মাসদাইর বাংলাভবন কমিউনিটি সেন্টারে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ‎সংগ্রহ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। 
‎‎এ সময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে তাদের জন্য এই দলের দরজা বন্ধ থাকবে। এই আমাদের জাতীয়তাবাদী দল যারা করেন তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করেন। জিয়াউর রহমান যখন নিহত হন তখন তার ব্যাংকে একটি টাকাও পাওয়া যায় নাই, তার একটি বাড়ি গাড়ি কিছুই পাওয়া যায় নাই। 

তারেক রহমান তিনি ঢাকায় আসবেন কোথায় থাকবেন, আজকের জন্য বাসা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তার নিজের কোন বাড়ি নেই। আমরা সেই আদর্শে নিজেদেরকে জনগণের উৎসর্গে বিলীন করে দেব। সংস্কারের কোন মূলা আমাদের দেখবেন না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন। মানুষের স্বার্থে যেকোনো কর্মসূচি দিতে বাধ্য করবেন না।

‎‎এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড.  এস এম মাহমুদুল হক আলমগীর এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এড.  আব্দুল বারী ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা বিএনপির সদস্য ইকরামুল করিম মামুন, নাদিম হাসান মিঠু, রহিমা শরিফ মায়া, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান দোলন সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ