সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, “আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলা— ‘আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না’। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেলে, যে ক্ষতি তোমাদের হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চটা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণে রাখবে। এটা যেন আমাদের মননে থাকে, বয়ানে থাকে।”

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে যান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ। এ সময় রিয়া গোপের মা বিউটি গোপকে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, রিয়ার হত্যার বিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে যখন বাচ্চারা খেলতে যাবে, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ রিয়ার নামটা থাকবে। তারা যখনই দেখবে, তখনই জিজ্ঞেস করবে—এই নাম কেন দেওয়া হলো? তখনই রিয়ার গল্পটা সবাই জানবে।”

উপদেষ্টা বলেন, “স্টেডিয়ামে সুন্দর একটা কর্নার থাকবে। সেখানে আমাদের যে বাচ্চারা হারিয়ে গেছে, তাদের নামসহ একটি কর্নার থাকবে। আজ রিয়ার মায়ের কাছে আসতে পেরেছি। সব শহীদের বাড়িতে যাওয়া কঠিন। তবে এই এগারোটি মেয়ে—যারা শহীদ হয়েছে—এই প্রথম, এগারো জন মেয়ে এবং ১৩৫টি শিশু শহীদ হয়েছে, আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে।”

এ সময় জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা সিদ্ধিরগঞ্জে আরেক শহীদ সুমাইয়া আক্তার সিমুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণঅভ য ত থ ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

থ্রিলারে ভরা ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

ভোররাতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে যেন ফুটবলপ্রেমীরা এক রূপকথার ম্যাচ প্রত্যক্ষ করলেন। রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচটি ছিল যেন নাটক। যেখানে প্রতিটি দৃশ্য ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরা। অভিনয়ে যার মূল নায়ক কিলিয়ান এমবাপে ও থিবো কোর্তোয়া। শেষের রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল রিয়াল।

শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। মাত্র দশ মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন গন্সালো গার্সিয়া। যুব দল থেকে উঠে আসা এই ফরোয়ার্ড প্রমাণ করছেন, বড় মঞ্চে খেলতে হলে কেবল নাম নয়, দরকার সাহস ও স্কিলে ভরপুর পারফরম্যান্স। এরপর ফ্রান গার্সিয়ার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। প্রথমার্ধে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকা রিয়াল যেন তখনই লিখে ফেলেছিল জয়গাঁথা।

তবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড হাল ছাড়ার দল নয়। দ্বিতীয়ার্ধে তারা গতি বাড়ায়, চাপ বাড়ায়। কিন্তু রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া তখনো ছিলেন অটল প্রহরীর মতো। কোচের পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে মাঠে নামেন এমবাপে, যিনি আবারো প্রমাণ করেন কেন তিনি বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন।

আরো পড়ুন:

দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ

টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত 

কিন্তু গল্পে মোড় আসে যোগ করা সময়ে। আন্টোনিও রুডিগারের ভুলে গোল করে ম্যাচে উত্তেজনার স্রোত ফেরায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু আশার আলো নিভিয়ে দিতে বেশি সময় নেননি এমবাপে। ওভারহেড কিকে দুর্দান্ত এক গোল করে আবারো রেয়ালকে এগিয়ে দেন ৩-১ গোলে।

এরপর ঘটে আরও এক নাটকীয়তা। ডিন হাউসেনের লাল কার্ড এবং ডর্টমুন্ডের পেনাল্টি গোল। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-২। তখনও এক মিনিট বাকি। ঠিক তখনই মার্সেল সাবিৎজারের জোরালো শট ফিরিয়ে রিয়ালকে বাঁচান কোর্তোয়া। যিনি এদিন গোলবারে ছিলেন সত্যিকারের সুপারহিরো।

রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে ডর্টমুন্ডের হতাশা আর রিয়ালের উল্লাস মিশে যায় রাতের আকাশে। থ্রিলার ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ এখন ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে লড়বে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজির বিপক্ষে, বুধবার দিবাগত রাতে।

  ঢাকা/আমিনুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থ্রিলারে ভরা ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ