Risingbd:
2025-07-06@14:56:07 GMT

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

Published: 6th, July 2025 GMT

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পাখি। একটা সময় ছিল যখন শহরের আশপাশের গ্রামে নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলত। সময়ের সঙ্গে পাখি হারিয়ে যেতে বসেছে। পাখির বংশ বিস্তার এবং নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও ‘প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা’ স্লোগানে কুষ্টিয়ায় মাসব্যাপী পাখির নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপন (বাঁশের হাড়ি) কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানুষ মানুষের জন্য’ কুষ্টিয়ার অর্থায়নে রবিবার (৬ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি মাসব্যাপী চলবে।

কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ের গাছে গাছে বাঁশের হাড়ি স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনী কর্মসূচিতে মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার সভাপতি এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) সুদীপ্ত সরকার। কর্মসূচি পরিচালনা করেন সংগঠনের কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মীর কুশল। 

আরো পড়ুন:

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যায় ২ মামলা

‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে পাখিদের আবাসন ধ্বংস হচ্ছে’

এ সময় শাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, ‘‘পাখিদের মুক্তভাবে বাঁচার জন্য পুকুর ভরাট, গাছ নিধন, শিকার বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছেন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞরা। নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বর্তমানে দেশে বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাখিরা বাসা বাঁধার স্থান পাচ্ছে না। পাখিদের বাচ্চা দেয়ার সময় বড় বড় গাছ না থাকায় ওরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। প্রকৃতির সন্তানদের রক্ষা করতে বাসা বাঁধা শুরু হয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত ১৬ বছর নিজেরা অর্থ খরচ করে গাছে গাছে বাঁশের তৈরি হাড়ি বেঁধে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’’ এ সময় সংগঠনের সদস্য আকাশ আহমেদ, নয়ন, সেলিম, আনাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য প রক ত

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে তাজিয়া মিছিল দেখতে সড়কের পাশে মানুষের ভিড়

মানিকগঞ্জে গড়পাড়া ইমামবাড়ি থেকে জেলা শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে ছিল মানুষের ভিড়।

আজ রোববার পবিত্র মহররমের তাজিয়া মিছিল দেখতে তাঁরা এই দীর্ঘ পথে সারিবদ্ধ হয়ে অবস্থান করেন। সড়কের পাশে ভবনগুলোর ছাদেও মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মানিকগঞ্জে শত বছরের প্রাচীন গড়পাড়া ইমামবাড়ি অন্যান্য বারের মতো এবারও পবিত্র আশুরা পালন করছে। এ উপলক্ষে ১০ দিন ব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গড়পাড়া ইমামবাড়ি থেকে দেশের অন্যতম বড় তাজিয়া মিছিল বের হয়। হজরত ইমাম হোসেনের শেষ মঞ্জিলের নকশা ‘তাজিয়া’, তাঁর নিজের ব্যবহার করা ঘোড়া ‘দুলদুল’ এবং কারবালা যুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী নিশান নিয়ে হাজার হাজার ইমামভক্তরা এই শোকমিছিলে অংশ নেন। বিগত সময়ের মতো এবারও শোকমিছিলে ‘হায় হোসেন, হায় ইমাম’ শোকধ্বনি গাইবেন ইমামভক্তরা।

এ শোকমিছিল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হয়ে জেলা শহরে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এ মিছিল দেখতে সহস্রাধিক মানুষ সড়কের দুই পাশে ভিড় করেন।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাজিয়া মিছিল দেখতে আসা শামীম হোসেন বলেন, ‘তাজিয়া মিছিলে কারবালার ময়দানে শোকাবহ ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই সমবেদনা জানাতে এখানে এসেছি।’

মিছিল শেষে আজ সন্ধ্যায় সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পর আশুরার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মর্যাদা সম্পর্কে এক সভা হয়। এতে গড়পাড়া ইমামবাড়ি দরবার শরিফের প্রধান খাদেম এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ভিএসজেএ) সভাপতি শাহ আরিফুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভায় হজরত ইমাম হোসেনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। সভায় হজরত ইমাম হোসেনের আত্মার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। মানিকগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ শোকসভায় কারবালার মহান শহীদদের মহান আত্মত্যাগ সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনা সভা শেষে ইসলাম ও বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গড়পাড়া ইমামবাড়ির অন্যতম খাদেম শাহ্ শাহজাদা রহমান বাঁধন এ পর্ব পরিচালনা করেন।

এদিকে শোকমিছিল উপলক্ষে গড়পাড়া ইমামবাড়ি ও জেলা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়। মিছিলে সুশৃঙ্খলা রক্ষায় ইমামবাড়ির স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া সেনাসদস্যরা সড়কে টহলের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে গড়পাড়া ইমামবাড়ির পাশে তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় গেরস্তালি বিভিন্ন জিনিসপত্র, মনিহারি, লোহা-তামার জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন খাবারের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন মেলায় ভিড় করেন।

শাহ আরিফুর রহমান বলেন, ‘মুসলমানদের কাছে ১০ মহররমের দিন অত্যন্ত শোকের। ইয়াজিদ চেয়েছিল রাজতন্ত্র কায়েম করতে। তবে ইসলাম তথা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নীতি ও আদর্শের মধ্যে রাজতন্ত্র ছিল না। ইসলাম উদার ও শান্তির ধর্ম। ইমাম হোসেন ও তাঁর মাতামহ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেই নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী চলতে বলেছেন। দেখিছেন ইসলাম সত্য ও শান্তির ধর্ম; ইসলাম অসত্য, অন্যায় ও অবিচারের ধর্ম নয়। ইমাম হোসেনের সেই শিক্ষাই আমাদের নেওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ