Risingbd:
2025-07-06@17:41:25 GMT

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

Published: 6th, July 2025 GMT

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পাখি। একটা সময় ছিল যখন শহরের আশপাশের গ্রামে নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলত। সময়ের সঙ্গে পাখি হারিয়ে যেতে বসেছে। পাখির বংশ বিস্তার এবং নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও ‘প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা’ স্লোগানে কুষ্টিয়ায় মাসব্যাপী পাখির নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপন (বাঁশের হাড়ি) কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানুষ মানুষের জন্য’ কুষ্টিয়ার অর্থায়নে রবিবার (৬ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি মাসব্যাপী চলবে।

কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ের গাছে গাছে বাঁশের হাড়ি স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনী কর্মসূচিতে মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার সভাপতি এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) সুদীপ্ত সরকার। কর্মসূচি পরিচালনা করেন সংগঠনের কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মীর কুশল। 

আরো পড়ুন:

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যায় ২ মামলা

‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে পাখিদের আবাসন ধ্বংস হচ্ছে’

এ সময় শাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, ‘‘পাখিদের মুক্তভাবে বাঁচার জন্য পুকুর ভরাট, গাছ নিধন, শিকার বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছেন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞরা। নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বর্তমানে দেশে বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাখিরা বাসা বাঁধার স্থান পাচ্ছে না। পাখিদের বাচ্চা দেয়ার সময় বড় বড় গাছ না থাকায় ওরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। প্রকৃতির সন্তানদের রক্ষা করতে বাসা বাঁধা শুরু হয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত ১৬ বছর নিজেরা অর্থ খরচ করে গাছে গাছে বাঁশের তৈরি হাড়ি বেঁধে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’’ এ সময় সংগঠনের সদস্য আকাশ আহমেদ, নয়ন, সেলিম, আনাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য প রক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ক্যান্ডিতে মিরাজরা

কলম্বো থেকে মেহেদী হাসান মিরাজদের ক্যান্ডি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা। আগের দিন ম্যাচ খেলার ধকল কাটাতে লম্বা বিশ্রাম নিয়ে রাজধানী থেকে ভেলি শহরের উদ্দেশে বিকেল ৩টায় রওনা হন তারা। নিরাপত্তা প্রোটোকলের ব্যাপার থাকায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে একসঙ্গেই আসতে হয়েছে। ক্যান্ডি শহরে আসার পর দুটি দলের পথ আলাদা হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এবার ভিন্ন দুটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছে। পাহাড়ের নির্জন এলাকায় নতুন গড়ে উঠা গোল্ডেন ক্রাউন হোটেলে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে আছে শ্রীলঙ্কা।

শহরে থাকার কারণে আসালঙ্কারা হাত বাড়ালেই সব সুযোগসুবিধা পাবেন। শহরের বাইরে রাখার কারণে মিরাজদের হাতের কাছে সুযোগ সুবিধা একটু কম। অবশ্য এ নিয়ে বাংলাদেশ দলে কোনো আক্ষেপ নেই। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে জেতার আনন্দে ফুরফুরে মেজাজে আছেন ক্রিকেটাররা। পারিপার্শ্বিক সব কিছু ভুলে এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বুনছেন তারা।

বাংলাদেশ ক্যান্ডিতে ভালো ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ২০১২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচে বড় স্কোর করেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষেও ওয়ানডে জিতেছে, টেস্ট ম্যাচ ড্র করেছে। এই স্মৃতিগুলো টাইগারদের কাছে এখন প্রেরণা। যদিও কোচিং স্টাফরে কাছে রেকর্ড গুরুত্ব পাচ্ছে উন্নতি। তারা চান ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগে ধারাবাহিক উন্নতি করে ম্যাচ জয়কে অভ্যাসে পরিণত করবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। অধিনায়ক মিরাজও উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে আরও একাগ্রতা দেখতে চান তিনি।

বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জয়ের ধারাবাহিকতা দেখতে চান। ঢাকা থেকে ফোনে তিনি বলেন, একটি ম্যাচ জিতলে হবে না। এটা সাময়িক স্বস্তি। হ্যাঁ, কলম্বোর জয়ে খেলোয়াড়রা কিছুটা উজ্জীবিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখন থেকেই ধারাবাহিক হতে হবে। নিয়মিতই ম্যাচ জেতার কৌশল জানতে হবে ক্রিকেটারদের।

বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের গড় বয়স কমে গেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালরা অবসর নেওয়ায় অপেক্ষাকৃত তরুণরা জায়গা করে নিয়েছেন। এই নবীনদের বেশিরভাগ আবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়। ক্রিকেটারদের বয়সের গড় কমে যাওয়া মানে অভিজ্ঞতায়ও পিছিয়ে গেছে। এরমধ্যেও ভালো দিক হলো তরুণরা সাহস নিয়ে খেলতে জানেন। পারভেজ হোসেন ইমন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, শরিফুল ইসলামরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেন। ফাহিম মনে করেন এই খেলোয়াড়দের হাত ধরেই ধাপে ধাপে উন্নতির পথ খুঁজে পাবে বাংলাদেশ।

ট্রানজেকশনের ভেতরে থাকায় সাদা বলের ক্রিকেটে খুব একটা ভালো করতে পারছিল না বাংলাদেশ। গত দেড় বছর ধরে ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা চোখে পড়ার মতোই। টপঅর্ডারে তানজি হাসান তামিম ছাড়া কেউই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। তামিম ইকবাল জাতীয় দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওপেনিং জুটিতে সেভাবে কেউ সেট হতে পারেননি। লিটন কুমার দাস ওপেনিং পজিশন হারিয়েছেন রান করতে না পারায়। মিডল অর্ডারেও ভালো করতে না পারায় একাদশ থেকেও জায়গা হারিয়েছেন। টি-২০ সিরিজে রান করতে ব্যর্থ হলে নেতৃত্ব এবং জাতীয় দল দুই হারাতে হতে পারে তাকে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সহ-খেলোয়াড়রা লিটনকে সর্বাত্মক সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ কারণেই খারাপ করার পরও এবার ওয়ানডে দল থেকে সরানো হয়নি তাকে। তবে তাকে ছাড়াই হয়তো সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কারণ বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ থেকে জানা গেছে, নাজমুল হোসেন শান্তর উরুর পেশির টান সমস্যা না। তিনি ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি আছেন। তবে সব ছাপিয়ে বেশি যেটা চোখে পড়ছে ক্রিকেটারদের জয়ের নেশায় পেয়েছে। তারা পারেন আর নাই পারেন শুধু জিততে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ