গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। অনেকেই ছাতার নিচে। তবে অধিকাংশের কাছেই ছাতা নেই। শিল্পী মৌসুমী গেয়ে যাচ্ছেন, ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গান। বৃষ্টিতে ভিজেই শিল্পীর সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন অনেকে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বৃষ্টির মধ্যেই এভাবেই চলছে ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’।

‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষিত শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা চিকিৎসক বরখাস্ত

চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণের ভিডিও ভাইরালের পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালী হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৭ দালালের কারাদণ্ড

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘তার আচরণ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য করে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত নিয়মে খোরপোশ ভাতা পাবেন।’’

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বরখাস্তের আদেশ আমরা পেয়েছি। এখন পর্যন্ত তার পরিবর্তে স্থায়ীভাবে কাউকে দেওয়া হয়নি। যেহেতু তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছিলেন, তাই গত শুক্রবার থেকে তাকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. রাহিমুল।”

গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর স্বজনদের সঙ্গে ডা. আবুল কাশেমের অশালীন আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও তাকে শোকজ করা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ কপি শেয়ার করে লিখেছেন, “পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সদর হাসপাতালকে আমরা জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে দেখতে চাই, যেখানে সেবা হবে মুখ্য। আমরা ডাক্তারদের পাশে থাকতে চাই, তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধান করতে চাই। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু কোনো পদবী বা পেশাকে অপব্যবহার করে কেউ যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সাধারণ মানুষের ন্যূনতম আত্মসম্মানকে মূল্য না দেয়, তাহলে আমরা নির্দ্বিধায় সাধারণ মানুষের কণ্ঠ হয়ে কাজ করব। অন্যায় করে আর কেউ পার পেয়ে যাবে না ইনশাআল্লাহ।”

ঢাকা/নাঈম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ