অন্যের বাড়ির বাসি খাবার খেয়ে দিন পার করা মেয়েটি এখন ৪০ কোটি টাকার মালিক
Published: 7th, August 2025 GMT
দুই বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। মা অন্যের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করতেন, ভাইবোন কাজ করতেন কম্বলের কারখানায়। সেই মেয়েই আজ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত কমেডিয়ান—ভারতী সিং। ৩০ কোটি রুপির (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) টাকার সম্পদের মালিক এই শিল্পীর জীবনকাহিনি যেন প্রায় সিনেমার মতোই।
‘জীবন কাছ থেকে দেখলে ট্র্যাজেডি, দূর থেকে দেখলে কমেডি’, চার্লি চ্যাপলিনের এ কথা যেন হুবহু মিলে যায় বহু কমেডিয়ানের জীবনের সঙ্গে, যাঁরা দারিদ্র্য পেরিয়ে পৌঁছেছেন আলোর ঝলমলে মঞ্চে। পাঞ্জাব থেকে মুম্বাইয়ে কপিল শর্মার সফর যেমন সহজ ছিল না, তেমনি প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবকেও অটো চালাতে হয়েছিল রোজগারের জন্য। আর ভারতী সিং? একমাত্র নারী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন পুরুষপ্রধান কমেডি–জগতের সমান্তরালে। নিজের স্বকীয়তায় তিনি আজ ‘লাফটার কুইন’।
বাবাকে হারানোর পর জীবন বদলে গেল
মাত্র দুই বছর বয়সে ভারতী বাবাকে হারান। এরপর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মা ও দুই বড় ভাইবোনের ওপর। এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, তাঁর ভাই ও বোন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কম্বলের কারখানায় কাজ শুরু করেন। সেখানে তাঁরা এমন ভারী কম্বল তৈরি করতেন, যেগুলোর ওজন তাঁরা নিজেরাও বইতে পারতেন না।
মায়ের সংগ্রাম: টয়লেট পরিষ্কার, বাসি খাবারেই চলত পেট
এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, ছোটবেলায় তাঁরা প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তাঁর মা অন্যের বাড়িতে রান্নাবান্না ও টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করতেন। সেসব বাড়ি থেকে ফেরা বাসি খাবারই ছিল তাঁদের দিনের আহার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করত ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাঘাইছড়িতে বৃষ্টি থামায় কমছে পানি, এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই উপজেলার দেড় শতাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। পানি কমায় কিছু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো পাঁচটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বেশ কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। দেড় শতাধিক বাড়িতেও পানি ওঠে। পরে দেড় শতাধিক মানুষ উপজেলার চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি কমায় আজ ভোর ছয়টা থেকে পানি কমতে শুরু করে। উপজেলার সদরের মাস্টারপাড়া, মধ্যমপাড়া, মুসলিম ব্লক, বটতলী ও পোস্ট অফিস সড়ক থেকে পানি সরে গেছে। এ কারণে এসব সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো বটতলী-উগলছড়ি, সদর-বাবুপাড়া সড়কে পানি রয়েছে। এসব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে আজ বিকেলের মধ্যে এসব সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা ব্যবসায়ী নিলবরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের চেয়ে আজ পাহাড়ি ঢল অনেক কমেছে। কিছু রাস্তা থেকে পানি সরে গেছে। এখন মানুষ ও যানবাহন স্বাভাবিক যান চলাচল করছে।
জানতে চাইলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও ডুবে যাওয়ার এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকায় থেকে পানি সরে গেছে। চার থেকে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশা করছি, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না হলে আজকের মধ্যে বেশ কিছু পানি সরে যাবে।’