ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পরিকল্পনা দ্রুত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।

তুর্ক বলেছেন, “অধিকৃত গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ সামরিক দখলের জন্য ইসরায়েলি সরকারের পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”

তিনি বলেছেন, “ইসরায়েলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে বলে রায় দেওয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের পরিপন্থী এটি। সম্মত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

নেতানিয়াহু বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, “গাজা যেন আর কখনো আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ পরিকল্পনা। আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আপাতত ভারত থেকে পণ্য কিনছে না অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো খুচরা বিক্রেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর ভারত থেকে পণ্য নেওয়া স্থগিত করেছে ওয়ালমার্ট, অ্যামাজন, টার্গেট, গ্যাপসহ বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার এনডিটিভি প্রফিট এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে চিঠি ও ইমেইল পেয়েছেন। এতে বলা হয়েছে- পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য পাঠানো আপাতত বন্ধ রাখতে চান ক্রেতারা। বাড়তি শুল্কের বোঝা বহন করতে চান না তারা। এই ব্যয় রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চান তারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে খরচ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রগামী কার্যাদেশ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর ফলে ভারতের ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।

ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্ডো কাউন্ট, ট্রাইডেন্টের মত বড় ভারতীয় রপ্তানিকারকরা তাদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পণ্য বিক্রি করে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে।

ভারতের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে এই খাতে মোট ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে ২৮ শতাংশই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ভারতের এখন আশঙ্কা, তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কাছে কার্যাদেশ হারাতে পারে। এ দুটি দেশ ভারতের চেয়ে কম- অর্থাৎ ২০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ২৮ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে। রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ