ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। প্রায় সাড়ে ৭ মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে কয়েক দিন আগে দেশে ফিরেছেন এই অভিনেতা। ফিরেই পুত্র আয়াশকে চমকে দেন অপূর্ব। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এই অভিনেতা।

বাবাকে পেয়ে কেঁদে ফেলেন কিশোর আয়াশ। বাবা-ছেলের আবেগঘন মুহূর্ত দেখে নেটিজেনরাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। নেটিজেনদের কেউ কেউ কটাক্ষ করেও মন্তব্য করেন; যা চোখে পড়েছে অপূর্বর প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসানের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই নাট্যকার। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) নাজিয়া হাসান তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, “আপনারা অনেকেই হয়তো ভিডিওটি দেখেছেন, যেখানে আমার ছেলের বাবা আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আয়াশকে চমকে দেয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে খুবই নেতিবাচক মন্তব্য ও সংবাদ প্রকাশ করেছেন।” 

আরো পড়ুন:

ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন

রেজা-অর্পার ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’

আয়াশকে নিয়ে নেটিজেনরা কী বলেছেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নাজিয়া হাসান বলেন, “আমার ছেলের বাবা বেশ কিছুদিন আমেরিকায় ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, তার ফিরে আসার পর তাদের পুনর্মিলন ছিল অত্যন্ত আবেগময়, সুন্দর ও হৃদয়ছোঁয়া একটি মুহূর্ত। কিন্তু কিছু নেতিবাচক ও অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য/সংবাদ দেখে আমি সত্যিই কষ্ট পেয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, আমার ছেলে ‘নিঃসঙ্গ’ বা ‘একা’ ছিল।” 

এসব মন্তব্য ভিত্তিহীন। তা ব্যাখ্যা করে নাজিয়া হাসান বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার ছেলে আমার সঙ্গেই থাকে, ভালোবাসা, যত্ন এবং একজন শিশুর সকল অধিকার দিয়ে ঘেরা একটি পরিবেশে। সে তার বাবার সঙ্গে সপ্তাহান্তে বা যখন ইচ্ছা দেখা করে এবং আমরা সবসময় তার সুখকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি।” 

অনুরোধ জানিয়ে নাজিয়া হাসান বলেন, “অনুগ্রহ করে, আমাদের প্রতি আরো সদয় হোন। কখনো কখনো আপনার অজান্তেই বলা কোনো কথা অনেক গভীর আঘাত দিতে পারে। ভালোবাসা দিয়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।” 

২০১১ সালে নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ২০১৫ সালে এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় পুত্র জায়ান ফারুক আয়াশ। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় অপূর্ব-নাজিয়ার। ২০২০ সালে দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত‌্য জীবনের ইতি টানেন ঘোষণা দেন তারা। 

অপূর্বর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পর মাহবুব পারভেজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নাজিয়া। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাম্মা দেওয়ানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন অপূর্ব। শাম্মার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে একটি স্বনামধন‌্য গাড়ির কোম্পানিতে কর্মরত আছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র আম র ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন ফর্মুলা-ই রেসিং কার আরও শক্তিশালী হচ্ছে

দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নাম ফর্মুলা–ই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতাকে ফর্মুলা-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির রেস দেখা যায়। ফর্মুলা–ই এখন পর্যন্ত দ্রুততম ও সবচেয়ে টেকসই রেসিং কার উন্মোচন করেছে। আগামী ২০২৬-২৭ মৌসুমে জেন–৪ নামের এই গাড়িটির অভিষেক ঘটবে। এটি বর্তমানে ফর্মুলা ওয়ানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো গাড়ির চেয়ে দ্রুততর অ্যাক্সিলারেশন বা ত্বরণে চলতে পারে। এই নতুন গাড়িতে বিদ্যমান জেন–৩ ইভো মডেলের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি শক্তি থাকবে। ৩৫০ কিলোওয়াট থেকে ৬০০ কিলোওয়াট শক্তিতে পরিণত হবে গাড়িটি।

নতুন মডেলের গাড়িতে স্থায়ীভাবে সক্রিয় অল-হুইল ড্রাইভ থাকবে। এটি হবে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গাড়ি। নির্মাণের সময় এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ ভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফর্মুলা–ইর প্রধান নির্বাহী জেফ ডডস বলেন, বৈদ্যুতিক রেসিংয়ে এক দশকের বেশি সময়ের অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন এই গাড়ি। পরিচালক সংস্থা এফআইএর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই গাড়িটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত, চাহিদাপূর্ণ ও টেকসই মেশিন। কর্মক্ষমতা ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন মান তৈরি করবে। বিদ্যমান গাড়িটিই ইতিমধ্যে প্রায় ১.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। যেকোনো ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির চেয়ে প্রায় ৩০ ভাগ দ্রুত ছুটতে পারে এই গাড়ি।

নতুন গাড়িটি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ বছর আগে যখন এই সিরিজ শুরু হয়, তখন সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। ব্যাটারির স্বল্পতার কারণে চালকদের রেসের মাঝখানে গাড়ি পরিবর্তন করতে হতো। ডডস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি নতুন গাড়ির গতি সোজা রাস্তায় ও টেস্ট ট্র্যাকে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল দেখা যায়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টার ২০০ মাইলের  চেয়ে বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে এই গাড়ি ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির সমতুল্য গতিতে ল্যাপ করার বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলার সম্ভাবনা থাকবে।

এফআইএর সিনিয়র সার্কিট স্পোর্ট ডিরেক্টর মারেক নাওয়ারেকি জানান, উচ্চগতির জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। এসব গাড়ির জন্য কিছু ট্র্যাকে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে।

সূত্র:  রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ