নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ
Published: 10th, August 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রায় দুই বছরের গাজা যুদ্ধকে আরো তীব্র করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তেল আবিবের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তারা গাজায় অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার এবং জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। শনিবার রাতে এই বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা শহর দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের এই পদক্ষেপ হামাসের হাতে জিম্মিদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
জিম্মি ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশায় মিরান লাভি সমাবেশে বলেন,“এটি কেবল একটি সামরিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের জন্য মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।”
জনমত জরিপে দেখা গেছে, গাজায় হামাসের হাতে আটক বাকি ৫০ জন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলিদের সিংহভাগই যুদ্ধের অবিলম্বে অবসানের পক্ষে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে প্রায় ২০ জন জিম্মি এখনো বেঁচে আছেন।
৬৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রামি দার বলেছেন, “তারা (সরকার) ধর্মান্ধ। তারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”
৪৫ বছর বয়সী ইয়ানা বলেন, যিনি তার স্বামী এবং দুই সন্তানের সাথে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, আমি কোনো বিশেষজ্ঞ বা অন্য কিছু নই, কিন্তু আমার মনে হয় দুই বছর ধরে লড়াই করার পরেও কোনো সাফল্য আসেনি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু
কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।