৯ দাবিতে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদে
Published: 11th, August 2025 GMT
প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের কক্ষের সামনে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। ‘শিক্ষা না বাণিজ্য; শিক্ষা শিক্ষা’, ‘শিক্ষা আমাদেরকে অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও, দিতে হবে‘ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি হলো:
১.
আরো পড়ুন:
ছাত্র সংসদের দাবিতে আমরণ অনশনে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
২. রেজিস্ট্রেশনের সকল টাকা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জমা করতে হবে।
৩.নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে হবে।
৪. প্রশ্ন কাঠামো সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা প্রস্তুত করতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করতে হবে।
৫.পরীক্ষার ফল ৪০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের জন্য সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সিজিপিএ শর্ত বাতিল করতে হবে।
৬. ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয প্রশাসন (ভিসি) নিয়োগের সাথে সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সকল ডেটা হস্তান্তর করতে হবে।
৭. সকল দাবি ইউজিসি বা অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে মেনে নিতে হবে।
৮. বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সকল তথ্য, বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা একমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করতে হবে, যাতে বিভ্রান্তি ও গুজব রোধ করা যায়।
৯. অধ্যাদেশ জারির পর দ্রুত সব শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সার্ভারে স্থানান্তর করে নির্ধারিত ডিজাইনের আইডি কার্ড দিতে হবে।
ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াস চন্দ্র কর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, আজকের মধ্যে আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তাই, কর্তৃপক্ষকে বলছি, অতি দ্রুত আমাদের ৯ দফা দাবি মেনে নিন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেছেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি জানিয়েছি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেলা ৩টা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার জন্য বলছি। আশা করি, তাদের পক্ষে সুখবর দিতে পারব।
ঢাকা/রায়হান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব ত ঢ ক পর ক ষ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।
একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্কপ্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।
২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’
অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।