প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের কক্ষের সামনে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। ‘শিক্ষা না বাণিজ্য; শিক্ষা শিক্ষা’, ‘শিক্ষা আমাদেরকে অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও, দিতে হবে‘ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি হলো:
১.

অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক দ্বারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আরো পড়ুন:

ছাত্র সংসদের দাবিতে আমরণ অনশনে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

২. রেজিস্ট্রেশনের সকল টাকা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জমা করতে হবে।

৩.নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে হবে।

৪. প্রশ্ন কাঠামো সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা প্রস্তুত করতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করতে হবে।

৫.পরীক্ষার ফল ৪০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের জন্য সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সিজিপিএ শর্ত বাতিল করতে হবে।

৬. ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয প্রশাসন (ভিসি) নিয়োগের সাথে সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সকল ডেটা হস্তান্তর করতে হবে।

৭. সকল দাবি ইউজিসি বা অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে মেনে নিতে হবে।

৮. বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সকল তথ্য, বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা একমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করতে হবে, যাতে বিভ্রান্তি ও গুজব রোধ করা যায়।

৯. অধ্যাদেশ জারির পর দ্রুত সব শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সার্ভারে স্থানান্তর করে নির্ধারিত ডিজাইনের আইডি কার্ড দিতে হবে।

ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াস চন্দ্র কর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, আজকের মধ্যে আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তাই, কর্তৃপক্ষকে বলছি, অতি দ্রুত আমাদের ৯ দফা দাবি মেনে নিন।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেছেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি জানিয়েছি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেলা ৩টা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার জন্য বলছি। আশা করি, তাদের পক্ষে সুখবর দিতে পারব।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব ত ঢ ক পর ক ষ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • কারানির্যাতিত জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে পদ দিল ছাত্রদল
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • সাগর থেকে মাছ আহরণ বাংলাদেশের কমছে, ভারত-মিয়ানমারে বাড়ছে