অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ছয় নেতার বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি করেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিধান চন্দ্র রায়।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এম মুজিবুর রহমান, বাগেরহাট–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও আইনজীবী পারভেজ আলম খান। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ২২ এপ্রিল খুলনা মহানগরের ময়লাপোতা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এম এম মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনের তথ্য থেকে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম অ্যাপের মাধ্যমে ‘তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘বিজয় একাত্তর’ ও ‘জয় বাংলা আমার প্রাণ’ নামের গ্রুপে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছিল।

পরে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। ৪ আগস্ট কেএমপি অনুমতি পায়। এরপর গতকাল সোমবার সোনাডাঙ্গা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’ 

কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’ 

ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’ 

তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। 
 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় ড্যাবের এক নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার অনুসারীদের মানববন্ধন
  • জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হ‌বে: মাওলানা ইমতিয়াজ
  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • জনগণের দাবি অবজ্ঞা করবেন না: খেলাফত মজ‌লিস
  • পিআরের নামে জামায়াত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে: কায়সার কামাল
  • রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে না দেওয়ার আহ্বান তানিয়া রবের