১৬০ কোটি টাকার গৃহকর নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে যৌথ কমিটি
Published: 15th, August 2025 GMT
১৬০ কোটি টাকার গৃহকর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথ জরিপ কমিটি গঠন করবে। বন্দরের গৃহকরের হার নির্ধারণ করবে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি। কমিটি গঠনের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে সিটি করপোরেশনের দুজন প্রতিনিধির নাম দেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।
যৌথ জরিপ কমিটি গঠন এবং বন্দরের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। প্রতিনিধি হিসেবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে থাকবেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল ও প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বন্দরের চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যৌথভাবে জরিপের মাধ্যমে অনিষ্পন্ন পৌরকর (গৃহকর)–সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে প্রকৃত বার্ষিক গৃহকর নির্ধারণ করবে। চিঠিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের জন্য সিটি করপোরেশনের দুজন প্রতিনিধির নাম প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১৬০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে সিটি করপোরেশন। অপসারিত মেয়র মো.
বন্দরের চিঠিতে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপের মাধ্যমে বন্দরের জন্য গৃহকর নির্ধারিত হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে নির্ধারিত হওয়া এই গৃহকর ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। চলতি অর্থবছরেও গৃহকর খাতে ৪৫ কোটি টাকা পরিশোধযোগ্য। তাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪৫ কোটি টাকা সমন্বয় হওয়ার পরেও অতিরিক্ত ৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা আছে। ফলে এই অর্থবছরে গৃহকর খাতে কোনো বকেয়া নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌথ জরিপ করে নতুনভাবে গৃহকর নির্ধারণের জন্য সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানায় বন্দর।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হকর ন ১৬০ ক ট র জন য ৪৫ ক ট পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।