খালেদা জিয়ার জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির দোয়া
Published: 15th, August 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল চারটায় শহরের মিশনপাড়াস্থ হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
বিএনপিকে সারা দেশের একটি সুন্দর সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতাতা প্রকাশ করছি। আপনারা সবাই আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আজ ঐতিহাসিক ১৫ই আগস্ট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর একজন গৃহবধূ থেকে বিএনপি'র হাল ধরেন তিনি।
স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বল আন্দোলন করে তার পতন নিশ্চিত করেছিল। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯০ সালে নির্বাচনে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি রাজপথে আন্দোলনকে দুর্বার করে রেখেছিল।
তিনি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ফ্যাসিস শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাবন্দি করে রেখো তার মনোবলকে ভাঙতে পারেনি। কারণ তিনি ছিলেন আপোষহীন নেত্রী। আপনারা সবাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেনো তাকে নেক হায়াত ও সুস্থতা দান করেন আমিন।
এসময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় এবং একই সাথে ‘৭১ এর মুক্তিযুেদ্ধ জীবনদানকারী শহীদগণ, ‘৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো.ফয়সাল, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম সরদার, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, ইকবাল হোসেন, আল আরিফ, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মাহবুবুর রহমান, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ব এনপ র স ন র য়ণগঞ জ ব গম খ ল দ র রহম ন ল ইসল ম র জন য দল র স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে টাকা তুলবেন কীভাবে
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। এই সময়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। লেনদেন হবে না দেশের দুই শেয়ারবাজারেও। ছুটি শেষে আগামী রোববার সব খুলবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী উপলক্ষে ছুটি থাকবে। এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ও ৪ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সব মিলিয়ে চার দিন দেশের আর্থিক খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ৫ অক্টোবর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে।
ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলে।
তবে এই সময়ে খোলা থাকবে সব ধরনের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা। অর্থাৎ গ্রাহকেরা কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ও লেনদেন করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।
কীভাবে টাকা তুলবেনটানা চার দিন ছুটির সময়ে বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সময় নগদ টাকার প্রয়োজন হলে কী করবেন? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে বিকল্প উপায়ে টাকা তুলতে হবে।
এই সময়ে খোলা থাকবে এটিএম বুথ, এমএফএসের ক্যাশআউটসহ সব বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা লেনদেনের ব্যবস্থা।
কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে, চাইলে পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন করা যাবে। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু থাকবে। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও আর্থিক লেনদেন চালু রাখতে সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, সারা দেশে ব্যাংকগুলোর এখন ১২ হাজার ৮১৪টি এটিএম বুথ ও ৭ হাজার ৬৪৩টি সিআরএম রয়েছে। পিওএস রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৭টি। ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫২ লাখ ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে। অবশ্য একজন গ্রাহকের একাধিক ব্যাংকের কার্ড রয়েছে।
এর বাইরে এখন ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা রয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠাতে পারেন। ফলে এই ছুটিতে টাকা পাঠানোর কাজটি বন্ধ থাকবে না।
বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো এমএফএস সেবা বেশ জনপ্রিয়। এই সেবাগুলোর সবই খোলা আছে। এসব সেবায় ব্যাংক থেকে টাকা জমা করা যাচ্ছে।