যশোরে পেট্রলপাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগে বিএনপির সেই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
Published: 22nd, September 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রলপাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ
যশোরের শার্শা উপজেলায় জোরপূর্বক একটি পেট্রলপাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তনিমা তাসনুমা আজ রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন।
ওই নেতার নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তনিমা তাসনুমা বলেন, আনোয়ার হোসেন জালিয়াতি করে কাগজপত্র বানিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের পাম্পটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর বাবা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে বাগআঁচড়া মৌজার ১৭ শতক জমি কিনে ‘মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন’ নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ২০২৩ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে বারবার পাম্পটি দখলের চেষ্টা করেন।
তনিমার অভিযোগ, সর্বশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আনোয়ার হোসেন ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করে চাবিসহ সব কাগজপত্র নিয়ে যান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে বের করে দেন। পুলিশকে জানালে তাঁরা সরে যান। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখলের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
তবে আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ সম্মেলনকারী তনিমা তাসনুমার বাবা গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকে তিনি ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমিসহ ফিলিং স্টেশন কিনেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ফিলিং স্টেশনটি তাঁর দখলে ছিল এবং চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এটি পরিচালনা করেছেন। কিন্তু কিবরিয়ার স্ত্রী-সন্তানেরা দলিল ও চুক্তিনামা মানছেন না। তাঁরা পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে পাম্পটি দখল করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান জহির প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগেই আমাদের কাছে উভয় পক্ষ নালিশ করেছে। অভিযোগকারী তনিমার বাবা গোলাম কিবরিয়াও বিএনপির রাজনীতি করতেন। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই ফিলিং স্টেশনের সব কাগজপত্র আমি দেখেছি। জাল জালিয়াতের একটি অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিলে জানা যাবে।’
হাসান জহির বলেন, আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া। ওই টাকার বিনিময়ে তিনি জমি ও ফিলিং স্টেশন আনোয়ার হোসেন ও তাঁর ভাইয়ের নামে দলিল করে দেন। গোলাম কিবরিয়ার পরিবারের লোকজনের পেট্রলপাম্পের ব্যবসা আছে। পেট্রলপাম্প সমিতির প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা আগেই আনোয়ারের দখলে থাকা ফিলিং স্টেশনটি দখল করেছেন। আনোয়ার হোসেন তাঁর সম্পত্তি ফিরে পেতে চান। কারণ, জমি ও লাইসেন্স তাঁর নামে রয়েছে। এখানে রাজনৈতিক প্রভাবের কোনো বিষয় নেই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলিম বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।