সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর মালিকপক্ষ। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে যত টাকা দাম বাড়ানোর দাবি তুলেছেন, সরকার তাতে রাজি নয়।

তবে সরকারও কিছুটা দাম বাড়াতে রাজি। কতটা দাম বাড়ানো যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) মাধ্যমে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন প্রতি লিটারে মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাব করছে।

কারখানার মালিকেরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। দাম বাড়তে পারে ঠিক। তবে তা লিটারে কত টাকা, সেই হিসাব করা হচ্ছে।বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিক—কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।

বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল আরো ৬ দেশ

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের আরো ছয়টি দেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফ্রান্সসহ ৬টি দেশের নেতারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। 

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: প্রতিশোধ না নিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাজ্য

এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) নীতির বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ব্যতীত জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্যরাষ্ট্র এই সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সের পাশাপাশি বেলজিয়াম, অ্যান্ডোরা, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং মোনাকো জানিয়েছে, তারা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা, যারা একদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তারাও সভায় বক্তব্য রাখেন।

ফিলিস্তিন ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক এই শীর্ষ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, “আমরা এখানে সমবেত হয়েছি কারণ এখন সময় এসেছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা রক্ষা করার জন্য আমাদের ক্ষমতায় যা কিছু আছে তা করা আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি- ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে”। তিনি বলেন, “এটাই একমাত্র সমাধান, যা ইসরায়েলকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেবে।”

ম্যাক্রোঁ আরো বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অব্যাহত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে”। তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে। গাজায় বোমা হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও মানুষের দুর্দশা- কোনো কিছুই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা তৈরি করে না।”

তিনি সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রশংসা করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতে, স্বীকৃতি ‘কার্যকর আলোচনার পথ প্রশস্ত করবে’ এবং তিনি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আহ্বান জানান।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্স জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর অঙ্গসংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ