আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই: সারজিস আলম
Published: 23rd, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রর নিউইয়র্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুক পোস্টে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি লেখেন, “এই পা চাটা দালাল এবং জনতার ভয়ে জান নিয়ে পালিয়ে যাওয়া তাদের মা হাসিনা- হাজারের অধিক খুনের নির্দেশ দাতা। বিগত ১৭ বছরে এই দেশে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, ধর্ষণ থেকে শুরু করে এমন কোন ঘৃণিত কাজ ও অন্যায় নেই, যা তারা করেনি।”
“দালালি করতে করতে আর পা চাটতে চাটতে এরা এদের বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলেছে। এরা এদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য অভিশাপ” লেখেন তিনি।
তিনি বলেন, “এই নরপ'শুদের আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিনিময় এই শয়তানদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন তারা সাবধান হয়ে যান। সুযোগ পেলে এই কালো সাপগুলো আপনাদেরকেই ছোবল মারবে।”
সারজিস আলম ছাড়াও আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন পেছানোর প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলন শেষে রাকসু কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্বরে মিলিত হন তারা।
আরো পড়ুন:
রাবিতে বহাল থাকছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি
এর আগে রাত ৯টায় রাকসু নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে রাকসু কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। তারা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট একটি দলকে সুযোগ দিতেই বারবার রাকসু নির্বাচন পেছাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিক্ষোভ শেষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। একটি দলকে সুযোগ দিতেই বারবার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের যে তারিখ তারা দিয়েছেন, সেটি যে পরিবর্তন হবে না, তাতেও সন্দেহ আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের এমন একচেটিয়া সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এর আগেও দফায় দফায় রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছেন তারা। ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে এর আগেও মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। আজকেও ছাত্রদলের অবস্থান দেখে তারা রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেছেন, “সবদিক চিন্তা করেই আমাদের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। রাকসু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। পোষ্য কোটা ইস্যুতে শাটডাউন থাকায় আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। আমরা আশা করছি, ১৬ অক্টোবর উৎসবমুখর পরিবেশে রাকসু নির্বাচন হবে।”
বিক্ষোভ মিছিলে রাবি শাখা ছাত্রশিবির ও বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মী মিলে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ঢাকা/ফাহিম/রফিক