ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত
Published: 23rd, September 2025 GMT
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম হাসানের বিরুদ্ধে। একটি সভায় বক্তব্যের সময় সংগঠনটির কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল ইসলাম (শাকিল) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ড্যাবের কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান এবং জেলা ও মহানগর কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ড্যাবের নির্বাচিত নেতাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ড্যাব তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে চিকিৎসক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে ২৪ কোটি টাকার কেনাকাটায় চার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে। লুটপাটে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম হাসান (এম এম হাসান) জড়িত বলে অভিযোগ। এরপর গত রোববার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে ড্যাবের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা এবং জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ কর্মচারীদের উদ্যোগে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
ওই সভা চলাকালে হঠাৎ উপস্থিত হন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ড্যাবের কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ হায়দার। সভায় আরিফ হায়দার জেলা সভাপতি এম এম হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন। একই সভায় এম এম হাসানও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই দীর্ঘ বক্তব্যে আরিফ হায়দার হাসপাতালের কেনাকাটায় অর্থ লোপাটের তথ্য তুলে ধরেন।
পরে একই সভায় এম এম হাসান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি মিনহাজুর রহমানের (তারেক) সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা মেডিকেলের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্য বক্তারা এম এম হাসানের বিরুদ্ধে আসা প্রতিটি অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান।
তবে ঘটনার পর থেকেই এম এম হাসান ও হাসপাতালের পরিচালক দাবি করেছেন, ড্যাবের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ শ খ এম এম হ স ন উপস থ ত গঠন ক স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
আখতারের ওপর আ.লীগের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ডাকসু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতারের উপর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডাকসু।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
আখতার হোসেনের ওপর হামলা ঘটনায় ডাকসুর নিন্দা
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গীদের ওপর জুলাই গণহত্যা পরিচালনাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ আখতার হোসেনের ওপর সংগঠিত এ হামলা শুধু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের ওপর নগ্ন আঘাতই নয়, বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির জন্য সতর্কবার্তাও বটে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়াসহ সামাজিক প্রতিরোধ সৃষ্টিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে না পারায় এমন ন্যাক্কারজনক হামলার সাক্ষী হতে হচ্ছে।
ডাকসু এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) গণতন্ত্রকামী জনগণ ও ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতার লড়াইয়ে সবসময় দৃঢ় অবস্থানে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী