ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা করবেন ইবির ১৪১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
Published: 25th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রমে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৪১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পিএচডি গবেষক।
এর মধ্যে রয়েছেন, ৬৫ জন শিক্ষক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী ও সাতজন পিএইচডি গবেষক। আগামী ১ বছর এই গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ পাবেন তারা।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে হালিমে ‘পচা মাংস’, দোকানে তালা দেওয়ায় ‘হুমকি’
জাবিতে ছাত্রী হলের ওরিয়েন্টেশনে রাত ১০টার আগে হলে ফেরার নির্দেশনা
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পিএচডি গবেষক এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন- ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের সাতজন শিক্ষক, তিনজন শিক্ষার্থী ও তিনজন পিএইচডি গবেষক; কলা অনুষদের ১০ জন শিক্ষক, একজন শিক্ষার্থী ও তিনজন পিএইচডি গবেষক; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১১ জন শিক্ষক ও ১৪ জন শিক্ষার্থী; ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নয়জন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষার্থী; প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ১০ জন শিক্ষক ও ১৬ জন শিক্ষার্থী; জীববিজ্ঞান অনুষদের ১৩ জন শিক্ষক ও ২৩ জন শিক্ষার্থী; বিজ্ঞান অনুষদের পাঁচজন শিক্ষক, নয়জন শিক্ষার্থী ও একজন পিএইচডি গবেষক।
এই গবেষণা কার্যক্রমে নির্বাচিত শিক্ষকগণ ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, পিএইচডি গবেষক শিক্ষক ২ লাখ ও শিক্ষার্থী ৫০ হাজার টাকা এবং শিক্ষার্থীরা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পাবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন শ ক ষ র থ প এইচড ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আবুল কালাম (৫০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার ফেসবুক আইডিতে। ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আউট’। ফেসবুকে তার দেওয়া এই পোস্ট হত্যাকাণ্ডকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া বলে অভিযোগ করেছে নিহত কালামের পরিবার।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’: গোপালগঞ্জে আরেক মামলা, আসামি ২৫২
কানের দুল ছিনিয়ে নিতে শিশুকে হত্যা, আটক ২
আবুল কালাম উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযুক্ত কাউছার মানিক বাদল স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।
গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে কাউছারকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরে ৩ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউছারের সঙ্গে আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল।
কাউছার ভিডিওটি পোস্ট করেন তার কে এম বাদল নামের ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কয়েকজন ক্রিকেট খেলছেন। এর মধ্যে একজন রানআউট হয়েছেন। তবে, ভিডিওতে কাউছারকে দেখা যায়নি।
খুনের ঘটনার পরপরই কাউছার এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন নিহত কালামের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে খুন হওয়ার পর কাউছারের পোস্ট করা ভিডিওটি কাকতালীয় নয়। এটি হত্যার ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউসার মানিক বাদল বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি লতিফপুর বাজারে ছিলাম। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার সঙ্গেই বাজারে ছিলেন। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত নই।’’
নিজ দলের একজন নেতার মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউছার বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলেছিলাম, সেই ভিডিও দিয়ে আউট লিখেছি।’’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে কাউছার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ‘আউট’ লেখা ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব