গাজার জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

চলতি বছর সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিয়েছেন।

চলতি মাসের শুরুতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রকে বিপুল ভোটে সমর্থন করে। এই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের উপর জুলাই মাসে সৌদি আরব ও ফ্রান্স আয়োজিত জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এই ঘোষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার আব্বাস বলেছেন, “আমাদের জনগণ এত কষ্ট ভোগ করেছে তা সত্ত্বেও, আমরা ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে তা প্রত্যাখ্যান করি - ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এবং তাদের জিম্মি করে - কারণ এই ধরনের কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, এমনকি স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার জন্য তাদের ন্যায্য সংগ্রামেরও প্রতিনিধিত্ব করে না।”

তিনি বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করেছি এবং নিশ্চিত করেই থাকব - যে গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা সেখানে শাসন ও নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং অন্যান্য দলগুলোর সাথে তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে আমরা একটি সশস্ত্র রাষ্ট্র চাই না।”

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরব, ফ্রান্স, জাতিসংঘ এবং সমস্ত অংশীদারদের সাথে শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ঘোষণা করছি।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
  • ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটিতে সায় নেই মানুষের
  • ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • ‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’
  • গণভোট ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করবে: রিজভী
  • নেতারা বলবেন, জনতা শুনবে—এই সংস্কৃতি বদলাতে চায় মানুষ: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার 
  • রাজনীতি আগে যেমন ছিল, সে রকম হবে না, সেই সুযোগও নেই: সৈয়দা রিজওয়ানা
  • আওয়ামী লীগের লকডাউন, অগ্নিসন্ত্রাস ও ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’
  • কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর