গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে চান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস
Published: 25th, September 2025 GMT
গাজার জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চলতি বছর সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রকে বিপুল ভোটে সমর্থন করে। এই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের উপর জুলাই মাসে সৌদি আরব ও ফ্রান্স আয়োজিত জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এই ঘোষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার আব্বাস বলেছেন, “আমাদের জনগণ এত কষ্ট ভোগ করেছে তা সত্ত্বেও, আমরা ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে তা প্রত্যাখ্যান করি - ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এবং তাদের জিম্মি করে - কারণ এই ধরনের কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, এমনকি স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার জন্য তাদের ন্যায্য সংগ্রামেরও প্রতিনিধিত্ব করে না।”
তিনি বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করেছি এবং নিশ্চিত করেই থাকব - যে গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা সেখানে শাসন ও নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং অন্যান্য দলগুলোর সাথে তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে আমরা একটি সশস্ত্র রাষ্ট্র চাই না।”
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরব, ফ্রান্স, জাতিসংঘ এবং সমস্ত অংশীদারদের সাথে শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ঘোষণা করছি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।