সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নং ওয়ার্ডে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি
Published: 27th, September 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কতৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারপত্র সিদ্ধিরগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ চলমান রেখেছেন দলের তৃণমূলের কর্মীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর নির্দেশনায় সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে এই প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে প্রচারপত্র বিলিতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাকের আহমেদ সোহান, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, রাজা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন মুক্তুল, যুগ্ম সম্পাদক মামুন, রবিউল ইসলাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের মুন্সি, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জিমি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাব্বি, ক্রীড়া সম্পাদক আবিদ হাসান আব্দুল্লাহ, সহ-কোষাধ্যক্ষ রুবেল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নূরনবী, রাকিব হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় নজরুল ইসলাম বাবুল বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে ৩১ দফা উল্লেখিত বিষয়গুলি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকামী, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই জনাব তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন। এটা জনগণের কাছে বিএনপি'র প্রতিশ্রুতি।
এই প্রতিশ্রুতি তারেক রহমান ২০২৩ সালে ঘোষণা করেছেন। সারা দেশের বিএনপি'র নেতৃত্বও তিনি সেভাবে প্রস্তুত করছেন। নারায়ণগঞ্জে একজন সৎ, নির্লোভ ও শান্তি প্রিয় মানুষ অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ তারেক রহমান সাহেব ভালো মানুষদের দিয়েই আগামী দিনে এই মহৎ কাজগুলি বাস্তবায়ন করবেন।
জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য যেভাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সফল হয়েছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন স দ ধ রগঞ জ ল ইসল ম ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,“ইদানিং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করেছেন।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা সেই ক্যাম্পেইন থেকে সরে আসতে তারা বাধ্য হয়েছে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এনসিপির কৃষিবিদ উইং এর আয়োজনে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ খেয়াল করেছি
এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়ল
তিনি বলেন, “আমরা যখন কৃষি কৃষক নিয়ে কথা বলছি তখন বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুটি দলের অবস্থান খুবই ভয়ঙ্করভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। দুইটা বড় দল কৃষকের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য জনগণকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার সেটাকে গৌণ করে ফেলছে। আবার আরেকটি দল আলু না গণভোট স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকেরা পাচ্ছেন না সেটাকে তারা গৌণ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট দুটাই একই সঙ্গে সমান্তরালে গুরুত্বপূর্ণ।”
আখতার হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল নিজেদের জায়গা থেকে মন্তব্য করছেন সেটাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ গণভোট এবং পরবর্তী সংসদকে ক্ষমতা প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছি।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণভোটের রায় বাধ্যতামূলক হবে কি না? গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না? সে প্রশ্ন যারা করছেন তারা কিন্তু শিক্ষিত মানুষ। তারা এটাও জানেন যে পৃথিবীর অনেক দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর গণভোটের মধ্য দিয়ে সেই সংবিধানকেই পাস হতে হয়। যদি সেই গণভোটের সংবিধান পাস না হয় তাহলে সেটা সংবিধান হিসেবেই গৃহীত হয় না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার যে আদেশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনেকগুলো জায়গাতে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মতিগতির ওপর অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের বস্তু দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন,“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখব অতিদ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের অস্পষ্টতাগুলো দূরীকরণ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে বাংলাদেশে যেন একটি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রাস্তায় তৈরি করবেন।”
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও কৃষিবিদ উইং এর নেতারা।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ