বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত। প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, “মানুষ কোনো দলকে ভোট দিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে না। তারা জানতে চায় কাকে ভোট দিচ্ছে।”

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাগড়াছড়ির গুইমারায় পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার অবরোধ’কে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ড.

মঈন খান বলেন, “পাহাড়ে ও সমতলে মানুষে মানুষে কোনো প্রভেদ থাকতে পারে না। বিএনপি জনগণের মধ্যে কোনো বৈষম্য বা বিভেদে বিশ্বাস করে না।”

পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. মঈন খান বলেন, “পূজার শিক্ষাই হচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরন্তন সংগ্রাম। আমরা বিশ্বাস করি, সুর ও অসুরের যে যুদ্ধ হয় তাতে সবসময় অসুর পরাজিত হবে এবং সুর জয়লাভ করবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে হাজার বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। এ দেশের মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো ভালোবাসা। আবেগের জায়গায় ভালোবাসা প্রবল থাকায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।”

ড. মঈন খান নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান নারায়ণগঞ্জ আগের চেয়ে অনেক উন্নত। তবে কেবল বাহ্যিক উন্নয়ন নয়, আমাদের মানসিক ও নৈতিক উন্নয়নও করতে হবে। মনকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শংকর কুমার, আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ মঈন খ ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,“ইদানিং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করেছেন।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা সেই ক্যাম্পেইন থেকে সরে আসতে তারা বাধ্য হয়েছে।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এনসিপির কৃষিবিদ উইং এর আয়োজনে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ খেয়াল করেছি

এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়ল

তিনি বলেন, “আমরা যখন কৃষি কৃষক নিয়ে কথা বলছি তখন বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুটি দলের অবস্থান খুবই ভয়ঙ্করভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। দুইটা বড় দল কৃষকের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য জনগণকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার সেটাকে গৌণ করে ফেলছে। আবার আরেকটি দল আলু না গণভোট স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকেরা পাচ্ছেন না সেটাকে তারা গৌণ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট দুটাই একই সঙ্গে সমান্তরালে গুরুত্বপূর্ণ।”

আখতার হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল নিজেদের জায়গা থেকে মন্তব্য করছেন সেটাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ গণভোট এবং পরবর্তী সংসদকে ক্ষমতা প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছি।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণভোটের রায় বাধ্যতামূলক হবে কি না? গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না? সে প্রশ্ন যারা করছেন তারা কিন্তু শিক্ষিত মানুষ। তারা এটাও জানেন যে পৃথিবীর অনেক দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর গণভোটের মধ্য দিয়ে সেই সংবিধানকেই পাস হতে হয়। যদি সেই গণভোটের সংবিধান পাস না হয় তাহলে সেটা সংবিধান হিসেবেই গৃহীত হয় না।” 

তিনি আরো বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার যে আদেশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনেকগুলো জায়গাতে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মতিগতির ওপর অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের বস্তু দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন,“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখব অতিদ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের অস্পষ্টতাগুলো দূরীকরণ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে বাংলাদেশে যেন একটি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রাস্তায় তৈরি করবেন।”

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও কৃষিবিদ উইং এর নেতারা।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
  • ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটিতে সায় নেই মানুষের
  • ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • ‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’
  • গণভোট ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করবে: রিজভী
  • নেতারা বলবেন, জনতা শুনবে—এই সংস্কৃতি বদলাতে চায় মানুষ: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার 
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে : কম. সাঈদ
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে: কম. সাঈদ
  • শহরে মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিশাল গণমিছিল