দেশের মানুষ ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত : ড. মঈন খান
Published: 28th, September 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত। প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, “মানুষ কোনো দলকে ভোট দিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে না। তারা জানতে চায় কাকে ভোট দিচ্ছে।”
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার অবরোধ’কে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ড.
পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. মঈন খান বলেন, “পূজার শিক্ষাই হচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরন্তন সংগ্রাম। আমরা বিশ্বাস করি, সুর ও অসুরের যে যুদ্ধ হয় তাতে সবসময় অসুর পরাজিত হবে এবং সুর জয়লাভ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে হাজার বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। এ দেশের মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো ভালোবাসা। আবেগের জায়গায় ভালোবাসা প্রবল থাকায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।”
ড. মঈন খান নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান নারায়ণগঞ্জ আগের চেয়ে অনেক উন্নত। তবে কেবল বাহ্যিক উন্নয়ন নয়, আমাদের মানসিক ও নৈতিক উন্নয়নও করতে হবে। মনকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শংকর কুমার, আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ মঈন খ ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।