সফলভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে
Published: 1st, October 2025 GMT
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুধু দায়িত্ব নয়, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচনের ফলাফল ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে—গণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ নাকি অতীতের পুনরাবৃত্তি। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির সংলাপে এই বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে ইসিকে শক্তিশালী, স্বাধীন ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংলাপে অংশ নেওয়া নাগরিকেরা ইসিকে প্রথমেই সতর্ক করেছেন জনগণের আস্থার সংকটের বিষয়ে। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা জনগণের আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। অতীতে ভোট নিয়ে অভিযোগ ও অনিয়ম সঠিকভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ইসির প্রতি সেই আস্থা ক্ষয়ে গেছে। এবার যদি ইসি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তবে ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ফলাফল সবাই জানে—গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা আরও ক্ষুণ্ন হবে।
আধুনিক নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশাল ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এবারের নির্বাচনী প্রচারের ৮০ শতাংশই হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। সেখানে মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসৃষ্ট বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এসব মোকাবিলায় ইসিকে এখনই কার্যকর কৌশল নিতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে, ভোটাররা বিভ্রান্ত হবেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিপন্ন হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর বক্তব্যে উঠে এসেছে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের অপরিহার্যতা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ৫ থেকে ৭ শতাংশ নারী প্রার্থিতা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? দীর্ঘ সংগ্রামের পরও যদি নারীরা সংসদে ৩৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব না পান, তবে সেটি কেবল প্রতীকী অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধ থাকবে। তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রবীণ, দরিদ্র, নারী ও সংখ্যালঘুদের যেন পিছিয়ে না দেওয়া হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচনে সহিংসতা প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর যথার্থই বলেছেন, দেড় দশক ধরে সহিংসতা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এই প্রবণতা রোধ করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। শুধু তা-ই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন সংলাপে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে, মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে, আইন সংস্কার করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে জনগণের দৃষ্টিতে এসবের চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ইসি কি রাজনৈতিক চাপমুক্ত থেকে নিজস্ব স্বাধীনতায় কাজ করতে পারবে? নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন, নিরপেক্ষ রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটকেন্দ্রে সঠিক সময়ে ব্যালট পাঠানো—এসব বাস্তবায়নেই প্রমাণ মিলবে ইসির নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার।
আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য একটি মাইলফলক। সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশ তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে। সঠিক পথে হাঁটতে পারলে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসে উজ্জ্বল স্থান পাবে; ব্যর্থ হলে আরও গভীর সংকটে পড়বে রাষ্ট্র ও সমাজ। নির্বাচন কমিশনের সামনে এখন একটাই পথ—নিরপেক্ষ, সাহসী ও স্বাধীন ভূমিকা পালন করে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে ও দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত—এমন একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রতিনিধিরা। দলটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রস্তাবটির ওপর এই ভোটাভুটি হয়। এ ফলাফলকে লেবার সম্মেলনের ইতিহাসে এক বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অভূতপূর্ব এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনই মেনে নিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে। সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিতে পূর্ণ অবরোধ আরোপের বিষয়েও সমর্থন জানানো হয়।
গত রোববার লিভারপুলে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা নানা বিষয়ে প্রস্তাবে ভোট দিচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালক বেন জামাল বলেন, এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।
ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের (টিএসএসএ) সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম এসলামদুস্ত বলেন, ‘আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে—আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।’
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।
আগের দিন গত রোববার যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। সেখানে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ‘জাতিহত্যার ঝুঁকি’ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালিয়েছে ও এখনো চালাচ্ছে।
এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।বেন জামাল, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালকমিডল ইস্ট আইয়ের তথ্যমতে, যে জরুরি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ফ্যালকনার রোববার বক্তব্য দিয়েছিলেন, প্রস্তাবটি বরং বড় ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন সমর্থন পেয়েছে।
মিডল ইস্ট আই যে প্রস্তাবের কপি দেখেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সম্মেলন জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করছে এবং লেবার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে, গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে তার হাতে থাকা সব যুক্তিসংগত উপায় ব্যবহার করতে।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রস্তাবে আরও দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে চাপ দিতে সরকারকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে এবং যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে জাতিহত্যায় সহযোগিতা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ঘটনা লেবার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।ব্রিটিশ প্যালেস্টিনিয়ান কমিটির পরিচালক সারা হুসেইনি বলেন, লেবার নেতৃত্বকে এখন নিজেদের দলের সদস্য, জাতিসংঘ, জাতিহত্যা বিশেষজ্ঞ ও অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকার করতে হবে যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এ অপরাধে সম্পৃক্ততা বন্ধ করতে হবে।
স্টারমার সরকারের ওপর চাপ
প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় গাজায় জাতিহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে, আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।মারিয়াম এসলামদুস্ত, ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকএ ঘটনা লেবার কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি–সংক্রান্ত ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করেছিল। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের অস্ত্র গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গের কাজে ব্যবহার হতে পারে।
তবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের লাইসেন্স নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। এই যুদ্ধবিমান সরাসরি গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, লেবার পার্টির ৭২ শতাংশ ভোটার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের মধ্যে একের পর এক কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ দুই দেশ দীর্ঘদিনের মিত্র। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র মেলায় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটেনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে ‘হামাসকে দেওয়া পুরস্কার’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনপশ্চিমা নেতারা কি মুখ রক্ষা করতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ গত সপ্তাহেই ব্রিটেনে যান ও ডাউনিং স্ট্রিটে স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে হারজগ বলেন, তিনি স্টারমারের সঙ্গে একদিকে বিতর্ক করেছেন, অন্যদিকে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্টারমারকে তিনি ইসরায়েলের মিত্র আখ্যা দেন।
আরও পড়ুনইসরায়েল ভ্রমণে না যেতে বলেছে যুক্তরাজ্য, দূতাবাসের কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা১৫ জুন ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির গুরুত্ব কতটা২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫