কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে জয়ী মার্ক কার্নি বলেছেন, তিনি শিগগিরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেবেন। গতকাল সোমবার অটোয়ায় ট্রুডো ও লিবাবের ককাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বিঘ্ন ও দ্রুত হবে।

কানাডায় গত রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ভোটে জয়ী হওয়ার এক দিন পর কার্নি বলেন, তিনি এবং ট্রুডো দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ও রয়েছে।

কার্নি বলেন, এখন কানাডার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর আগে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকানদের কোনো ভুল করা উচিত নয়, হকির মতো বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ট্রুডোর কাছ থেকে এ সপ্তাহের শেষের দিকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারেন কার্নি। তবে নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা হয়নি।

তবে কার্নি যখনই সরকার গঠন করুন না কেন, তিনি হয়তো বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না।

কানাডায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে এর আগে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আগাম ভোটও দেখা যেতে পারে। বর্তমান জনমত জরিপে বিরোধী রক্ষণশীলেরা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।

ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর কার্নির জন্য সাধারণ নির্বাচন একটি বড় পরীক্ষা হবে। কারণ, তিনি আগে কখনো সংসদে দায়িত্ব পালন করেননি বা কোনো নির্বাচিত সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ