বিশ্বমঞ্চে সিডস ফর দ্য ফিউচার বিজয়ীরা
Published: 13th, July 2025 GMT
চলতি বছরে চূড়ান্ত মূল্যায়ন, যাচাই-বাছাই ও প্রশিক্ষণের পর সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে উদ্যোক্তারা। রাজধানীতে হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সদরদপ্তরে আটজন বিজয়ীর হাতে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। বিজয়ীরা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চীন সফর করবেন।
বিজয়ীরা হলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাফিম করিম খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) মো.
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর অব দ্য বোর্ড লিন হাই প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবছর মেধাবীদের বৈশ্বিক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছি। উদ্যোগটি আমাদের বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন, যা দেশের মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নে শক্তিশালী আইসিটি খাত গড়ে তোলার প্রতি দৃঢ় প্রতিফলন। আইসিটি ক্ষেত্রে তরুণদের জন্য এমন উদ্যোগ দীর্ঘ বিনিয়োগের প্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা যে মূল্যবান শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ অফিসপ্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এমন প্রতিযোগিতার কৌশলগত অংশীজন হয়ে কাজ করেছি। উদ্যোগটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করছে। বিজয়ী তরুণ-তরুণীর দক্ষতা, উৎসাহ ও অঙ্গীকার সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তাদের ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এমন মেধাবী তরুণ-তরুণীরাই ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে।
উদ্যোক্তারা জানায়, সারাবিশ্বের ১৪১টি দেশের ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর এবারে ১২তম প্রতিযোগিতা হয়েছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশের তরুণরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা পেয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জনসচেতনতাই তাদের কাজ
খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় মায়ের অসচেতনতার কারনে শিশু মারা যাচ্ছে। যে ওরস্যালাইন আমাদের জীবন বাচায় সেই ওরস্যালাইন এর কারণে আমাদের ভবিষ্যত শিশুরা মারা যাবে তা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। এমন অবস্থায় আরএডি ফাউন্ডেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো শিশুদের জীবন রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আরএডি ফাউন্ডেশন ২০২২ সাল থেকে দেশের স্কুল গুলোতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৯ সাল থেকে সচেতন করে যাচ্ছে রেল লাইন এবং তার আশেপাশের মানুষগুলোকে। কিভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করা যায় এবং পাথর নিক্ষেপের শাস্তি ও পাথর নিক্ষেপে সাধারণ মানুষের কেমন ক্ষতি হয় সেগুলো বুঝাচ্ছে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কয়েকজন তরুন সাধারণ মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলার লক্ষ্যে আরএডি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। সংগঠনটির এখন শাখা চালু আছে ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা এবং বান্দরবানে। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আরএডি ফাউন্ডেশন আর্ত-মানবতার সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে-সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও বৃদ্ধি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদবস্ত্র ও শীতবস্ত্র উপহার, মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা ব্যবস্থা করা, ফুটপাতে থাকা মানুষের জন্য ১ বেলার খাবার বিতরণ, প্রাকৃতিক দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকা ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী উপহার। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মানিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষকে সচেতন করে আসছি আমরা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো বেশির ভাগ নিরক্ষর হওয়ায় তাদের জন্য চলবে আমাদের বিশেষ সচেতনতা ক্যাম্পেইন।’