রাতে পরিবারের সঙ্গে কথোপকথন, সকালে টিনের চালে দোকানির লাশ
Published: 3rd, April 2025 GMT
খুলনার ডুমুরিয়ায় চায়ের দোকানি খান মহিতুর রহমানের (৩৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের পাশে খান মার্কেটের টিনের চালের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামে (সরকারি চাকরি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ) খান আব্দুর রহিম খানের ছেলে।
নিহতের মামা আব্দুল মালেক জানান, খান মার্কেটটি তাদের নিজস্ব। ওই মাকের্টে খান মহিতুর রহমানের নিজের একটি চায়ের দোকান রয়েছে এবং একই মার্কেটেই তাদের বাসাবাড়ি। তবে বুধবার রাতে সে দোকানে ছিলো। তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু গভীর রাতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তার চায়ের দোকান খোলা এবং মোবাইল ফোনটি দোকানে পড়ে আছে। মহিতুর নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর আজ ভোরে তার টিনের চালের ওপর মহিতুর রহমানের মরদেহ দেখা যায়। পাশে রয়েছে এক বক্স টাগারের বোতল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিনের চাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, খান মহিতুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলো। এছাড়া পারিবারিক কলহ, টাকা পয়সা ও জমিজমা সংক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চাপা কলহ চলছিলো। মহিতুরের স্ত্রী ও দুই সন্তান ঈদে তাদের নানা বাড়িতে ছিলো। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বাড়ি আসে।
ডুমুরিয়া থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ ফাঁসের পর ফেনীতে এনসিপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ প্রকাশ হওয়া নিয়ে সমালোচনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্র। আজ বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ওই নেতার নাম আজিজুর রহমান। তিনি সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক পদে ছিলেন। এনসিপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার (আজিজুর) বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় আপনার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। আপনাকে দলের সকল দায়িত্ব থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান বলেন, ‘একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর বিষয়টি আমার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে চার দিনের জন্য শোকজ করেন। এ সময় আমি আমার বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করি। কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজিজুর রহমানে মুঠোফোনের কথোপকথন ভাইরাল হয়। এতে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান সাজুকে কারামুক্ত করার বিষয়ে তাঁর নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ মমিনের কথোপকথন ছিল। ওই কথোপকথনে আজিজুর রহমানকে মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে আজিজুর বলেন, ‘ও চাইলে আমাকে ১ কোটি টাকা, ২ কোটিও দিতে পারে ৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়?’ এ কথোপকথন প্রকাশের পর জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার হয়।