খুলনার ডুমুরিয়ায় চায়ের দোকানি খান মহিতুর রহমানের (৩৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের পাশে খান মার্কেটের টিনের চালের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামে (সরকারি চাকরি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ) খান আব্দুর রহিম খানের ছেলে।

নিহতের মামা আব্দুল মালেক জানান, খান মার্কেটটি তাদের নিজস্ব। ওই মাকের্টে খান মহিতুর রহমানের নিজের একটি চায়ের দোকান রয়েছে এবং একই মার্কেটেই তাদের বাসাবাড়ি। তবে বুধবার রাতে সে দোকানে ছিলো। তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু গভীর রাতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তার চায়ের দোকান খোলা এবং মোবাইল ফোনটি দোকানে পড়ে আছে। মহিতুর নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর আজ ভোরে তার টিনের চালের ওপর মহিতুর রহমানের মরদেহ দেখা যায়। পাশে রয়েছে এক বক্স টাগারের বোতল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিনের চাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, খান মহিতুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলো। এছাড়া পারিবারিক কলহ, টাকা পয়সা ও জমিজমা সংক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চাপা কলহ চলছিলো। মহিতুরের স্ত্রী ও দুই সন্তান ঈদে তাদের নানা বাড়িতে ছিলো। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বাড়ি আসে।

ডুমুরিয়া থানার ওসি মো.

মাসুদ রানা বলেন, লাশের পাশে এক বক্স টাগারের বোতল পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কালেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পার্কে জানা যাবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

বিমান দুর্ঘটনার পরই কেন ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ খোঁজা হয়, কী থাকে এই যন্ত্রে

সম্প্রতি ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের পর বিমানে সংরক্ষিত ‘ব্ল‍্যাক বক্স’টি উদ্ধার করা হয়েছে। যেকোনো বিমান দুর্ঘটনার পর তদন্তের জন্য প্রথমেই ব্ল‍্যাক বক্সের খোঁজ করা হয়। কারণ এই ব্ল‍্যাক বক্সে ফ্লাইটের যাবতীয় তথ্য এবং ককপিটে পাইলট, কো-পাইলট ও অন্যদের কথোপকথন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হয়ে থাকে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)—এ দুটি ব্ল‍্যাক বক্স থাকে প্লেনের পেছনের দিকে। পাইলটদের হেডসেট ও ককপিটের মাঝামাঝি স্থানে থাকে প্রায় চারটি মাইক্রোফোন। ওদের কাজ হলো সেখানকার কথোপকথন ধারণ করে পেছনের ব্ল‍্যাক বক্সে জমা করা। আধুনিক মডেলের সিভিআরে শেষ দু ঘণ্টা পর্যন্ত কথাবার্তা রেকর্ড থাকে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ব্ল‍্যাক বক্সের বিভিন্ন তথ্য থেকে শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি জানা যায়। এভাবে দুর্ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনের মাধ্যমে পরবর্তীকালে ওই ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর উপায় বের করা ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া সম্ভব ব্ল‍্যাক বাক্স তাই খুব জরুরি।

২০২২ সালে চীনে বিধ্বস্ত একটি বিমান থেকে উদ্ধার করা ব্ল্যাক বাক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেটা এআই অ্যাপের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের সুবিধা কী গোপনীয়তা উদ্বেগ তৈরি করছে?
  • বিমান দুর্ঘটনার পরই কেন ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ খোঁজা হয়, কী থাকে এই যন্ত্রে