বে ডেভেলপমেন্টস ও আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
Published: 20th, April 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিয়েল এস্টেট খাতের অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বে ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মধ্যে একটি কৌশলগত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বে ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের করপোরেট অফিসে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই কৌশলগত অংশীদারত্বের আওতায় আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নির্মাণসামগ্রী বিভাগ থেকে বে ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের কাছে কঠোর মানদণ্ড অনুযায়ী উচ্চমানের নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করবে।
বে ডেভেলপমেন্টস তাদের উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্পের মাধ্যমে বিলাসবহুল ও আধুনিক জীবনযাত্রার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটি পূরণে আনোয়ার গ্রুপের পণ্যের গুণমান, উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষ ভূমিকা রাখবে।
এ অংশীদারত্ব শুধু মানসম্পন্ন নির্মাণসামগ্রী সরবরাহের চেয়ে বেশি কিছু। এটি উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চমানের রিয়েল এস্টেট খাতে টেকসই উন্নয়নের প্রতি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবোধ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার কৌশলগত সমন্বয়ের প্রতিফলন।
এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান উন্নত গুণমান, উদ্ভাবনী সমাধান ও টেকসই নির্মাণব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে একত্রে কাজ করবে। বিলাসবহুল ও আধুনিক জীবনযাত্রার মান তৈরিতে এ দুই গ্রুপের অংশীদারত্ব আবাসন শিল্পে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ আর হোসেন এবং বে ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তফা হাসান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বে ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জি এম শিফাতুর রহমান, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এন এম তাওহিদুজ্জামান এবং আনোয়ার গ্রুপের নির্মাণসামগ্রী বিভাগের করপোরেট সেলস প্রধান দিবাকর বিশ্বাস, হেড অব মার্কেটিং মো.
এ অংশীদারত্ব শুধু পণ্যের গুণমান রক্ষায় নয়, বরং দেশের রিয়েল এস্টেট খাতের টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির পথকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ভ লপম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।