সুষ্ঠু ভোট হলে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নিয়ে সংসদে যাবে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। 

তিনি বলেন, “বিএনপি তার ইতিহাসে কখনো কারচুপির নির্বাচন করেনি, সমর্থনও করে না। ভবিষ্যতেও কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে না। বিএনপি সংসদে যাবে মানুষের সমর্থন, ভালোবাসা ও আস্থার ভিত্তিতে।"

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির ৩১ দফা বিষয়ক কর্মশালায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: তারেক রহমান

রাউজানে যুবদল কর্মীকে মাথায়-বুকে গুলি করে হত্যা

রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি ১৭ বছর ধরে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখনো আন্দোলন চলছে, কারণ বর্তমানে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই, আছে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই চলবে।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই দেশে আওয়ামী লীগ সবসময় বিরোধীমতকে দমন করেছে। মানুষকে কথা বলতে দেয়নি তারা। হামলা-মামলা দিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এ কারণেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি। ৭৬ বছর বয়সে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরের আন্দোলনের ফলেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। বাংলাদেশ নামের সঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নাম ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। জিয়া পরিবার দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। জিয়া পরিবার ভালো থাকলে দেশ ও জনগণও ভালো থাকে।”

রংপুর বিভাগীয় বিএনপির ৩১ দফা বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় ও বিভাগীয় নেতারা অংশ নেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ