বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ নয়, অব্যবস্থাপনার দেশ বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেছেন, ‘এটি এমন একটি দেশ, যেখানে রাষ্ট্রীয় ভান্ডার শূন্য করে ফেললেও তাকে দুর্নীতি বলা যায় না। অথচ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।’

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পিএফএএস পলিউশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন বাংলাদেশ’শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ–বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে রাজনীতি ও গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কারমুখী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ। রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা ভাবে, যেভাবে তারা চলে এসেছে, সেভাবে চলবে। প্লিজ, ডোন্ট মেক মিসটেক। ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু, ১ হাজার ৫০০ ছেলেমেয়ে মারা গেছে। এটাকে মুছে দেওয়া যাবে না।’

উপদেষ্টা শারমীন পিএফএসের দূষণ নিয়ে সমন্বিতনীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সামনে লেবার অ্যান্ড পরিবেশ ইস্যু খুব বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। এটা মানবজাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাইনি, প্রয়োজনও নেই: ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা

ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই। তেহরানের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। 

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এর মাধ্যমে তারা ইরানে হামলার যুক্তি দাঁড় করাতে চায়। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা আরও জোরদার করার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না। 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। তবে দুই পক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। খবর-আল জাজিরা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরান একমত হয়েছে ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি (আনুমানিক ৬ ঘন্টার মধ্যে) মেনে চলার জন্য। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন! 

সম্পর্কিত নিবন্ধ