সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে ভারত: আখতার হোসেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, গত ১৬ বছরে দেশকে পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। পররাষ্ট্রনীতিতে এমন এক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতের কাছে যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যখন এ দেশের মানুষ তাদের হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নেমেছে, ঠিক তখনই ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
শনিবার দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি পুরোনো মাঠে যুবসমাজের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের আগ্রাসনবাদী মনোভাব এমনভাবে কাজ করেছে, তারা এ দেশের মানুষকে মানুষ মনে করেনি। কারণ বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা পুরোপুরি ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ এখন মর্যাদার প্রশ্নে একাট্টা। সীমান্তে উত্তেজনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় জনতাও সাহসিকতার সঙ্গে ভূমিকা রাখছে। এটি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদের অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিস্তা ইস্যু নিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘উত্তরের তিস্তা নদী নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বাঁধ নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।’ পাশাপাশি এখানকার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দৃশ্যমান করতে সরকারকে দ্রুত মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প আখত র হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরের বড়স্টেশন ঘটে ইলিশের ডিম মিলছে না
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুরের বড়স্টেশন ঘাটে এখনো ইলিশের ডিম মিলছে না। এতে অনেকের ইচ্ছা থাকার পরও ডিম কিনতে পারছেন না।
বুধবার (১৮ জুন) বড়স্টেশন ঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। অথচ অন্য সময় এখানে থালায় সাজিয়ে কেজি দরে ইলিশের ডিম বিক্রি করা হয়। এখানে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা কেজিদরে ডিম বিক্রি হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, এখনো ইলিশ তেমন ধরা পড়ছে না। দামও তুলনামূলক বেশি। ঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা তা এখনো আসা শুরু হয়নি। এই সময়ে এত দাম দিয়ে কেউ ইলিশের ডিম বের করে বিক্রি করার সাহস করছে না। তবে ডিমওয়ালা কিছু বড় ইলিশ বাজারে রয়েছে। কেউ চাইলে সেই ইলিশ কিনে ডিমের স্বাদ নিতে পারেন।
আরো পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে নামলেও ইলিশ মেলেনি
পটুয়াখালীর আড়তে ইলিশের কেজি ২৫০০ টাকা
তিনি আরো জানান, এক কেজি ডিম বের করতে হলে ১০-১২ কেজি ইলিশ কাটতে হয়। এখনো ঘাটে চারদিক থেকে ইলিশ আসা শুরু হয়নি। হয়ত মাসখানেক পর যখন আসবে, তখন দাম কমবে। সেই সময় ইলিশের ডিম বের করা শুরু হলে ক্রেতারাও পুরোদমে পাবেন।
প্রতি মৌসুমে চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে হু হু করে দাম বাড়ানো হয়। এতে ইলিশের ডিম কেজিপ্রতি ৩৩০০ হতে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।
হাজী মোহাম্মদুল্লা খান লোনা এবং ডিম সংরক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক আজিজুল হক আকাশ জানান, এখনো পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম। এই প্রতিমণ ইলিশ থেকে ৫-৬ কেজি ডিম পাওয়া যায়। তাই দক্ষিণাঞ্চলের বঙ্গোপসাগর থেকে আসা ইলিশের ডিম দিয়ে চাহিদা মেটাতে হয়। পদ্মা, মেঘনা নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি।
তিনি আরো জানান, এ বছর এখনো সেই পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে না। সেই জন্য দামও বেশি। এত বেশি দামের ইলিশ কিনে কেউ ডিম বের করে বিক্রি করছে না।
ঢাকা/অমরেশ/বকুল